৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা বাম গণতান্ত্রিক জোটের

১২১

বন্ধ সব রাষ্ট্রীয় পাটকল চালু ও আধুনিকায়নসহ অন্যান্য দাবিগুলো  মানা না হলে আগামী ৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট। রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সমাবেশ শেষে  বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পাট মন্ত্রণালয় অভিমুখে যাত্রা করলে আব্দুল গণি রোডের মুখে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় বামজোটের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের  ধস্তাধস্তি হয়। তবে কেউ আহত হননি। পরে সেখানেই মিছিল শেষ করা হয়।

এর আগে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, সরকার একবার বলছে পাটকলগুলোকে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে চালু করা হবে, আবার বলছে লিজ দেওয়া হবে। বাস্তবে জনগণের পাটকল ব্যক্তিমালিকদের কাছে বিক্রি করার পাঁয়তারা করছে সরকার। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের পেছনে সরকারের বড় অজুহাত হচ্ছে লোকসান। কিন্তু কেন লোকসান, কাদের কারণে লোকসান, লোকসান বন্ধে  কী কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল? সে সব প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই।  সরকার মাথা ব্যথার ওষুধ না দিয়ে মাথা কেটে ফেলার ব্যবস্থা করছে।

বক্তারা আরও বলেন, আমরা বার বার বলেছি, লোকসানের জন্য দায়ী সরকারের ভুলনীতি, দুর্নীতি এবং লুটপাট। সময় মতো পাট কেনার টাকা না দেওয়া, পরবর্তীতে বেশি দামে নিম্নমানের পাট কেনা, ৫০/৬০ বছরের পুরনো তাঁত দিয়ে উৎপাদন করা, বিজেএমসি’র মাথাভারী প্রশাসনের ব্যয় ইত্যাদি হলো লোকসানের প্রধান কারণ।

তারা হুঁশিয়ারি করে বলেন, ‘বন্ধ সব রাষ্ট্রীয় পাটকল সেপ্টেম্বরের মধ্যে চালু ও আধুনিকায়ন করতে হবে। শ্রমিকদের সব বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। লোকসানের জন্য দায়ী মন্ত্রণালয় ও বিজেএমসির কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। সরকারি-বেসরকারি সব পাটকলে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করতে হবে। না-হলে এসব দাবিতে আগামী ৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন— বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবি’র সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজ্জাদ জহির চন্দন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুইয়া প্রমুখ।