মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শনিবার (১৭ অক্টোবর) বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্থায়ী কমিটির নেতারা মনে করেন, ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় একাদশ জাতীয় নির্বাচনের মতোই ত্রাস সৃষ্টি করে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপির এজেন্টদের বের করে দিয়ে জাল ভোট দিয়ে ভোট ডাকাতি করেছে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন ইভিএম দিয়ে ভূয়া ফলাফল তৈরি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে। আমরা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছি এবং এই নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’
চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষকে চরম বিপাকে ফেলেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারি দলের মদদপুষ্ট এক শ্রেণির ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা এবং সরকারি ব্যবস্থপনার ব্যর্থতা ও দুর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে।’
সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালালে ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে—তাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।