রবিবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন ইউএসএ (বাংলাদেশ শাখা) ও গৌরব ৭১ আয়োজিত শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে এক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, নারী নির্যাতনকারী পশুদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক সেটা আমরাও চেয়েছি। দেশবাসীও মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে। এ পশুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছেন। ক্যাবিনেটে পাস হয়েছে এবং অধ্যাদেশ জারি হয়ে বিচারকার্য শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত দেখছি আজকে নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে অনেকে। এখানে শুধু রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা জড়িত না, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে। স্কুলের শিক্ষক, মাদ্রাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত বা গির্জার ফাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে নারী নির্যাতনের। সমাজে নৈতিক মূল্যবোধ ও মানবতার চরম অবক্ষয় চলে এসেছে। এই অবস্থা দূর না করে শুধুমাত্র শুধু দোষের ওপর রাজনীতি করলে আমরা এই নির্যাতন বা অবক্ষয় থেকে বের হয়ে আসতে পারবো না।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার সন্তানকে আপনি সঠিকভাবে পরিচর্যা করুন। আপনি তাদের নীতি নৈতিকতার জ্ঞান দান করুন। কারণ প্রত্যেকটা সন্তানের প্রথম পাঠশালা হচ্ছে তার পরিবার। আর শিক্ষক হচ্ছেন তার বাবা-মা।
শেখ রাসেলকে স্মরণ করে তিনি বলেন, শেখ রাসেল ৯ বছরের শিশু ছিল যখন তাকে প্রাণ দিতে হয়েছিল। এটি অত্যন্ত নিষ্ঠুর এবং পৃথিবীর কলঙ্কজনক ইতিহাসের একটি। আমরা অনেক জায়গায় দেখেছি পৃথিবীর ইতিহাসে ক্ষমতার পালাবদলের রাষ্ট্রনায়ককে প্রাণ দিতে হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতার পালাবদলের সময় রাষ্ট্রনায়কদের পরিবারকে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালানো পৃথিবীর ইতিহাসে পাওয়া যায়নি। এটা ঘটেছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, চিত্রশিল্পী জামাল উদ্দিন আহমেদ, গৌরব ৭১ এর সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনি, সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন প্রমুখ।