মাদ্রাসা শিক্ষা উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জাফরুল্লাহ’র

 

আলোচনা সভায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সবার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক। তাহলে সেখানে সংখ্যালঘুরাও শিক্ষা নিতে পারবে। তাদের ধর্ম পরিবর্তন করতে হবে না শিক্ষা নিতে। এতে মুসলমানদের ভালো হবে। তারা (সংখ্যালঘুরা) ইসলামের ভালো সাইট দেখতে পারবে। তাদের ইসলামফোবিয়াটা কমে যাবে।’











আজ শনিবার (১২ ডিসেম্বর)  ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক আলোচনায় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪০তম জন্মদিন উপলক্ষে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ভাসানী অনুসারী পরিষদ, ছাত্র, শ্রমিক ও যুব অধিকার পরিষদ, রাষ্ট্রচিন্তা ও গণসংহতি আন্দোলন এ সভার আয়োজন করে।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘স্বৈরাচার যেখানে বাসা বাঁধে সেখানে দেশপ্রেম ভুলিয়ে দেওয়া হয়। আজ স্বাধীনতার কথা বলবে, সেখানে মওলানা ভাসানীকে স্মরণ করবে না, তার নাম উচ্চারণ করবে না, তা তো হতে পারে না। স্বৈরাচারী সরকারের নিয়ম হচ্ছে যারা দেশের জন্য কিছু করেছে, তাদের নাম মুছে ফেলা। এটা হতে পারে?’
দেশের চলমান ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘হঠাৎ করে হুজুররা এত শক্তি পেলো কোথায়? সাহস পেলো কোথায়? তাদের কে মাঠে নামালো? এটারও ইতিহাস আছে। মার্কিন নির্বাচনে যখন জো বাইডেন নির্বাচিত হলো তখন অন্যদের মতো বাংলাদেশ সরকারও অভিনন্দন জানিয়েছে। সেখানে সবার উত্তর এসেছে, কিন্তু শেখ হাসিনার উত্তর আসেনি। কারণ জো বাইডেন জানেন রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি করে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। তাই দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য হুজুরদের মাঠে নামানো হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ টুপি মাথায় ভাস্কর্যবিরোধী অবস্থানে মাঠে নামলো। যাতে তারা (জো বাইডেন) জঙ্গিবাদ মৌলবাদের উত্থান দেখে ভয় পায়।’


তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমাদের কঠিন দায়িত্ব। আলেমরা জ্ঞানীগুণী মানুষ। কিন্তু অনেক সময় তারা একচোখা হয়। আন্দোলন করছেন মূর্তি আর ভাস্কর্য নিয়ে। এটা কোরআনের কোনও জায়গায় লেখা নেই। মূর্তি পূজা করতে নিষেধ আছে, কিন্তু মূর্তি ভাঙতে বলে নাই।’ ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলন থেকে সরে এসে হুজুরদের জনগণের অধিকারের আন্দোলন, ন্যায়-নীতির আন্দোলনে আসার আহ্বান জানান তিনি।