ইসলামি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার দাবি চরমোনাই পীরের

শিক্ষার সব স্তরে ইসলামি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, ‘প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা ছাত্রদেরকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, ‘নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী ইসলাম ধ্বংসে সিন্ডিকেটভিত্তিক অপপ্রচার করছে। ইসলামি শিক্ষা ও ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা প্রয়োগ করছে। দেশপ্রেম ও ইসলামি মূল্যবোধসম্পন্ন সুনাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষার সব স্তরে ইসলামি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। ধর্মহীন শিক্ষার ফলে আদর্শ মানুষের পরিবর্তে চোর-ডাকাত, দুর্নীতিবাজ হিসেবে গড়ে ওঠে রাষ্ট্রের সম্পদ বিদেশে পাচার করছে। এই পাচারের সঙ্গে মুর্খ, রিকশাচালক, কিংবা মাদ্রাসার কোনও শিক্ষার্থী জড়িত নয়।’

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘সমাজে এক ধরনের ডাকাত আছে, যারা রাইফেল বা ছুরি ঠেকিয়ে ডাকাতি করে। অপরদিকে শিক্ষিত ডাকাত যারা কলম দিয়ে ফাইল ঠেকিয়ে ডাকাতি করে।এরা সকলেই ডাকাত। বরং মুর্খ ডাকাতের চেয়ে ও শিক্ষিত ডাকাত আরও ভয়ঙ্কর। এজন্য ছাত্র-শিক্ষক উভয়কে ইসলামি ও নৈতিকতা শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।’

সম্মেলনে অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানকে সভাপতি, মাওলানা এবিএম জাকারিয়াকে সহ-সভাপতি এবং অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খানকে সেক্রেটারি জেনারেল করে ২০২১-২২ সেশনের জন্য জাতীয় শিক্ষক ফোরামের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন চরমোনাই পীর। অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ১৪ দফা প্রস্তাবনা পেশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. আক্কাস আলী সরকার, যুগ্ম মহাসচিব আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, শিক্ষা ও সংষ্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন প্রমুখ।

কুমিল্লা জেলা উত্তর ও মহানগর কমিটি পুনর্গঠন

ইসলামী আন্দোলনের কুমিল্লা জেলা উত্তর ও মহানগর কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। শহরের একটি মিলনায়তনে দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে দলের আমির  মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এ কমিটি ঘোষণা করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম ও সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান। জেলা মুজাহিদ কমিটির ছদর কামরুল হাসান খোকনসহ জেলা কমিটির নেতারা বক্তব্য রাখেন। পরে মাওলানা মোহাম্মদ তৈয়্যবকে সভাপতি, কাজী মাওলানা শামসুল ইসলামকে সহ-সভাপতি এবং মাওলানা নূর হোসাইনকে সেক্রেটারি করে কুমিল্লা জেলা উত্তর এবং এম.এম. বিলাল হোসাইনকে সভাপতি, মাওলানা রাশেদুল ইসলাম রহমতপুরিকে সহ-সভাপতি এবং মাওলানা এনামুল হক মজুমদারকে সেক্রেটারি করে কুমিল্লা মহানগর কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।