খালেদা জিয়া ক্রান্তিকালে, আজকালের মধ্যে বিদেশে পাঠানোর দাবি

‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জীবনের ক্রান্তিকালে আছেন; সরকারকে কাগজে-কাগজে কথা না বলে আজকে বা কালকের মধ্যে তাকে বিদেশে পাঠানোর’ আহ্বান জানিয়েছেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া কতক্ষণ বাঁচবেন বলতে পারবো না। অত্যন্ত ক্রান্তিকালে আছেন।’

বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এ টি এম হায়দার মিলনায়তনে ‘নাগরিক সংবাদ সম্মেলনে’ তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা এবং জুমে কয়েকজন শিক্ষক-নাগরিক যুক্ত ছিলেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘গতকাল বিকালে আমি, জোনায়েদ সাকিসহ কয়েকজন এভার কেয়ারে গিয়েছিলাম।  যা দেখেছি, এর চেয়ে বড় ঘটনা সাম্প্রতিককালে আমাদের নজরে আসেনি। খালেদা জিয়া কতক্ষণ বাঁচবেন বলতে পারবো না। উনাকে হত্যা করা হচ্ছে।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, ‘আপনারা গোয়ার্তুমি করবেন না। ভানুমতির খেলা দেখাবেন না। কাগজে কাগজে বাজে কথা বন্ধ রাখেন। আজকেই পাঠিয়ে দিন, তারপর দোয়া করেন।আমরাও দোয়া করি উনি যেন সুস্থ ফিরে আসেন।’

সংবাদ সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘গতকাল আমরা বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানার জন্য এভার কেয়ার হাসপাতালে যাই। তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। তার এখন যে অবস্থা- তাতে বাংলাদেশে বিদ্যমান চিকিৎসার সক্ষমতা কাজে লাগানো হচ্ছে। কিন্তু এর চাইতে অগ্রসর চিকিৎসা যেটা দেশে নেই; সেটা তার প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়া কয়েকবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, জনপ্রিয় নেত্রী। সবার প্রথমে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। সংবিধান অনুযায়ী চিকিৎসার অধিকার তার প্রাপ্য। সেই অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’

জুমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বেগম জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে দেওয়ার সুযোগ দিন। আজকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও যদি এরকম পরিস্থিতি শিকার হতেন, আমরা সিভিল সোসাইটির লোকেরা বিবৃতি দিতাম, কথা বলতাম।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সম্ভব হলে আজ রাতের মধ্যে বেগম জিয়াকে বিদেশে পাঠানো দরকার। সবাই বলছেন, সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত করে বা জামিন দিয়ে সর্বোচ্চ উপযুক্ত চিকিৎসা পাঠানো সম্ভব। আইনের কথা যা বলা হচ্ছে, তা কুযুক্তি, কুতর্ক। আইনি মারপ্যাচ কোনও সমস্যা হবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। জুমে যুক্ত ছিলেন অধ্যাপক আহমেদ কামাল। এছাড়া জেএসডি, নাগরিক ঐক্যের নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।