নিজ আসনে জঙ্গি ঘাঁটির কথা বললেন শামীম ওসমান

শামীম ওসমাননিজ সংসদীয় আসনে দুটি জঙ্গি ঘাঁটি থাকার কথা বললেন  আওয়ামী লীগের  স্থানীয় এমপি শামীম ওসমান। তিনি বলেন,‘দেশের সবচেয়ে বড় দুটি জঙ্গি ঘাঁটি রয়েছে নারায়ণগঞ্জে। ঘাঁটি দুটির একটি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ও আরেকটি সিদ্ধিরগঞ্জের সীমান্তে। জঙ্গিদের এই দুটি ঘাঁটিতে তাদের একটি গ্রুপ রয়েছে যারা ‘হিট অ্যান্ড রান’ নামে পরিচিত।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের নতুন পালপাড়া এলাকায় ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১২৮তম আবির্ভাব বর্ষ স্মরণ উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শামীম ওসমান আশঙ্কা করে বলেন,‘এখনও ২১ আগস্টের মত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে’। যদি কেউ মনে করে থাকেন ধর্মের দোহাই দিয়ে আঘাত করবেন তা হলে হুশিয়ার হয়ে যান।
শামীম ওসমান আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের মাটিতে গোলাম আজমকে নিষিদ্ধ করার দাবি করেছিলাম বলে খালেদা জিয়া আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এবং তিনি তা করেছেনও। চাষাঢ়া বোমা হামলায় আমাকে  মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যগুণে আমি বেঁচে যাই। এখনও এই হামলায় গুরুতর আহত অনেকে দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমি জানি সামনে অনেক ঘটনা ঘটবে। কারণ যখন সন্ত্রাসীদের, জঙ্গিদের সকল পথ বন্ধ হয়ে যায় তখন তারা সংঘাতের পথ বেছে নেয়। তারা মানুষ মারার চেষ্টা করবে, তারা বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলার চেষ্টা করবে। আর তাই আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।
শামীম ওসমান বলেন, সব ধর্মেই যুগে যুগে কিছু কিছু লোক রয়েছে যারা নিজামীদের মত ধর্মকে বিক্রি করে খায়। এরাই বিগত সময়ে ৪৫১ টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়েছে আন্দোলনের নাসে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সৎসঙ্গের সভাপতি সমীর কর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। মুখ্য আলোচক ছিলেন অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ হিমায়িতপুর পাবনার সচিব রবীন্দ্রনাথ সরকার।
বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন ভারতের প্রখ্যাত আলোচক পঙ্কজ মৃধা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর ফাদার তপন কামিলুস ডিরোজারিও, বিন করুনা ভিক্ষু, প্যানেল মেয়র শারমিন হাবিব বিন্নি। অনুষ্ঠানে সাগত বক্তব্য রাখেন স্মরণ উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক বিশ্বজিৎ সাহা।
/টিএইচ /এমএসএম/আপ-এআর/