‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে তদন্ত কমিশন গঠন সময়ের দাবি’

বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য নায়কদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠন সময়ের দাবি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সুবিধাভোগী কারা ছিল? কারা ষড়যন্ত্র করেছে? জিয়া, মোশতাকের কাজ; সেটা পরিষ্কার করে দেয়। সেই ষড়যন্ত্র এখনও আছে। কেননা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যার চেষ্টা করেছে।

শনিবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে পনেরই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন বলেন, ওই সময় আমাদের নেতৃত্ব কেন কোনও ঘোষণা দিতে পারল না, সে কথা আজকে বলতে চাই না।

আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য নায়কদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠন সময়ের দাবি। দু বছর আগেও আমরা বলেছি। বিচার বিভাগীয় হোক বা গণকমিশন হোক, সেটা গঠন করে নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করা হোক।

সভায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিছক কোনও ব্যক্তির হত্যা নয়। বাংলাদেশকে দ্বিতীয় পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র। সেই কাজ জেনারেল জিয়াউর রহমান পরিকল্পিতভাবে করেছেন। এরশাদ করেছেন। সংবিধানে এখনও সাম্প্রদায়িকতা-সামরিক সরকারের ক্ষত আছে। এগুলো ধীরে ধীরে দূর করতে হবে।

কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ মেনন অনুষ্ঠানে ছিলেন না। তার পক্ষে সূচনাপত্র পড়ে শোনান দলের নেতা কামরুল আহসান। ওই পত্রে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ষড়যন্ত্র প্রকাশ করতে ‘জাতীয় তদন্ত কমিশন’ গঠন করার দাবি করা হয়।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল নায়ক জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে  বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়ে ছিল। বঙ্গবন্ধু ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধ করেছিলেন, জিয়া সেটা পুনরুদ্ধার করেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।