সালাহ উদ্দিনকে দেশে আনার দায়িত্ব সরকারের: মির্জা ফখরুল

ভারতের আদালতের রায়ে বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদকে সসম্মানে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমেদকে অবিলম্বে আমাদের মাঝে ফেরত চাই। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের রায় ও নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে অবিলম্বে সসম্মানে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারত সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। তাকে বিনা কারণে অন্যায়ভাবে দীর্ঘ আট বছর ভারতে কারাগারে ও নজরবন্দী অবস্থায় কাটাতে হয়েছে। তাকে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত বেকসুর খালাস দেওয়ার পর তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব সরকারের। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে মুক্ত অবস্থায় অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুন।’

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে উত্তরার এক বন্ধুর বাসা থেকে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়। ৬২ দিন পর ১১ মে ভোর রাতে ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের গলফ লিংক রাস্তার ওপর তাকে পাওয়া যায়।

এ সময় সালাহ উদ্দিন আহমেদ স্থানীয় পথচারীদের সহায়তায় শিলং পুলিশের কাছে তার পরিচয় ও বিস্তারিত ঘটনা তুলে ধরলে পুলিশ তাকে ভারতের ফরেনার্স অ্যাক্ট, ১৯৪৬-এর বিধানমতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার করে।

সালাহ উদ্দিন আহমেদ ভারতের আদালতে বিচারকালীন রাষ্ট্রপক্ষের সব সাক্ষ্য-প্রমাণ মোকাবিলা ও খণ্ডন করে এবং নিজের পক্ষে ৭০টি দালিলিক প্রমাণ ও সাফাই সাক্ষী উপস্থাপন করে। ভারতীয় আদালত সব সাক্ষ্য ও দলিলগুলো পর্যালোচনা করে তাকে বেকসুর খালাস দেন এবং তাকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করানোর জন্য ভারত সরকারকে নির্দেশনা দেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ভারত সরকার আপিল করলে আপিল আদালতও বিচারিক আদালতের বেকসুর খালাসের রায় ও প্রত্যাবর্তন করানোর নির্দেশনার আদেশ বহাল রাখেন। সালাহ উদ্দিন আহমেদ আট বছর ভারতে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন।