আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হবে না: বদরুদ্দীন ওমর

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, চিন্তক-ইতিহাসবিদ বদরুদ্দীন ওমর বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে তাড়াতে হবে। তাদের অধীনে নির্বাচন হবে না। বিএনপিও বলছে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। কিন্তু নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না, সে কথা বিএনপি বলছে না।’

শুক্রবার (১৬ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গণসংস্কৃতি ফ্রন্ট আয়োজিত ‘গণতন্ত্রের সংগ্রাম ও সংবাদপত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে শেষ করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন বদরুদ্দীন ওমর।

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে নির্বাচনের আগেই ১৫৩ জন নির্বাচিত হয়ে গেলো। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে মিটিং ডাকা হলো। সব ডিসি এসপি ছিলেন সেই মিটিংয়ে। সেই মিটিংয়ে এইচ টি ইমামও ছিলেন। তিনি ডিসি এসপিদের কাছে জানতে চাইলেন, নির্বাচন হলে কী হবে? তখন ডিসি-এসপিরা বললো, আওয়ামী লীগ ৩০টা সিটও পাবে না। তখন ইমাম সাহেব বললেন, আপনাদের ধারণা ঠিক, বলুন ২৫০টা সিট পেতে হলে কী করতে হবে? পরে যা করার তাই হয়েছে। সেটা এ দেশের জনগণ জানেন।’

ওমর অভিযোগ করেন, এখন যারা ক্ষমতায় আছে তারা নিজেরা কিছু করে না। আমলাদের মাধ্যমে সবকিছু করছে। আমলাদের মাধ্যমে চুরি-দুর্নীতি করছে। ফলে তাদের ধরার কোনও উপায় নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের ভীসানীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন মিছিল মিটিং করতে পুলিশের অনুমতি লাগবে। সভা সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। এই অবস্থায় আমেরিকা বলছে ভিসা দেবে না। এ কথা বলার জের হলো এই দেশের চোর-দুর্নীতিবাজ সবাই আমেরিকায় আছে। তাদের যেতে হবে।’ তাই আমেরিকা এই ভিসানীতি দিতে পারছে বলে জানান তিনি।

সাংবাদিক সাগর-রুনি দম্পতির হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করে ওমর বলেন, ‘বর্তমানে আইনের কাঠামোর মধ্যে খুন-অপকর্ম সব হচ্ছে। সাগর-রুনি হত্যার দশ বছরের বেশি হয়ে গেলো। র‍্যাব এতদিনেও আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারলো না। আদালত আবারও সময় দিচ্ছে। কারা খুন করেছে সবাই জানে। এটা নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে সামান্য চাঞ্চল্য দেখা গেলেও কোনও প্রতিবাদ দেখা গেলো না।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবির, প্রথম আলো পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন।