জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে দমাতে এক-এগারোর সৃষ্টি: ফখরুল

জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে স্তব্ধ করতেই এক-এগারোর সৃষ্টি হয়েছিল বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দশম কারাবরণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম এ সভার আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে স্তব্ধ করার ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরে যারা জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণ।’

তিনি বলেন, ‘যারা এক-এগারোর পক্ষে কথা বলেছেন তারাই এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন। কিন্তু তিনি (শেখ হাসিনা) এক-এগারোর সরকারকেই বৈধতা দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, এক-এগারোর সরকার তাদের আন্দোলনের ফসল। শুধু তাই নয়, এ সরকার যা কিছু করবে তার সব কিছুকে বৈধতা দেবে। আজকে যখন তাদের আঁতে ঘা লেগেছে, আক্রান্ত হচ্ছে, তখন এর বিরুদ্ধে কথা বলছে। যারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, এই সংসদে এক-এগারোর কুশীলবদের বিচারের দাবি করা হচ্ছে। বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এক-এগারোর সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। কিন্তু সে মামলাটি চাপিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য অত্যন্ত পরিষ্কার যে- একটি মাত্র দলকে, মতবাদ ও আদর্শকে স্তব্ধ করতে হবে, তাকে ধ্বংস করতে হবে। রাষ্ট্রীয় কাঠামো থেকে তাকে বাদ দিতে হবে। সে কারণেই বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দলের ওপর আক্রমণ ও আগ্রাসন করা হয়েছে।

বিএনপি নেতা বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশ ও জাতীয়তাবাদের প্রতীক। তাকে নিয়ে সরকারের যত ভয়। তারেক রহমানকে যদি স্তব্ধ করে দেওয়া যায় তাহলে তাদের লক্ষ্য সফল হবে। তারেক রহমানের বক্তব্য বাংলাদেশে প্রচার-প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না। কেন তাদের (সরকারের) এত ভয়। বিরোধী মতের লোকদের কথা বলতে দেওয়া হয় না।

/এসটিএস/এসটি/এএইচ/