টুঙ্গীপাড়ায় ওবায়দুল কাদের

‘সম্মেলনের ৭ দিনেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে না পারা বিএনপির ব্যর্থতা’

টুঙ্গীপাড়ায় ওবায়দুল কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী  ওবায়দুল কাদের বিএনপির সমালোচনা করে বলেছেন, সাত দিন আগে সম্মেলন করেও এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি দলটি। রাজনৈতিক দল হিসেবে এটি তাদের  সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। তারা কমিটি গঠনের জন্য লন্ডনের দিকে তাকিয়ে আছে।

শনিবার (২৬ মার্চ) সকালে ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে টুঙ্গীপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ সব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ডলার চুরিতে আওয়ামী লীগ নেতারা জড়িত- বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা যখন যা খুশি তাই বলে যাচ্ছেন। আসলে তাদের কথা অরণ্যে রোদনের মতো। বাস্তবতার সঙ্গে কোনও মিল নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ব্যাপারে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের ১০ গ্রেট লিডারদের মধ্যে অবস্থান করে নিয়েছেন। এটি আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন ও অহংকার। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা  বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপ। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৫ বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। মন্ত্রী আরও বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পদ্মা সেতু বাস্তায়িত হবে। এ নিয়ে কোনও ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ব্যাপারে সরকারের আন্তরিকতার কোনও অভাব নেই। বিভিন্ন দেশে সরকার কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে। মৃত্যুদণ্ডে বিশ্বাসী নয়, এমন দেশে খুনিরা আশ্রয় নিয়েছে। সেখান থেকেও তাদের ফিরিয়ে আনার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা হবে।

এর আগে মন্ত্রী টুঙ্গীপাড়া পৌঁছে আব্দুর রহমান এমপি, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকার প্রতিনিধি আলহাজ শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, শ্রম বিষয়ক  সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজকে সঙ্গে নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর নেতারা সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে পবিত্র ফাতেহাপাঠ ও বঙ্গবন্ধুর রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এ সময় সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান চৌধূরী, সওজের গোপালগঞ্জ জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কবির উদ্দিন আহম্মেদ, গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সমীরন রায়, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমীন, এস.এম আক্কাস আলী, টুঙ্গীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার খায়ের, পৌর মেয়র শেখ আহম্মেদ হোসেন মীর্জাসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

/এফএস/