শেখ হাসিনার সরকারই তিস্তা চুক্তি করবে: ওবায়দুল কাদের

কৃষক লীগের সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বক্তব্য রাখছেন/ফোকাস বাংলা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারই তিস্তা চুক্তিও করবে। এ সংক্রান্ত সব প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়ছে। গঙ্গা চুক্তিও শেখ হাসিনার সরকার করেছিল।’

শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) কৃষকলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার আছে, রাজ্য সরকার আছে। তাদের দেশের পরিবেশে পরিস্থিতির বিষয় আছে। সব বিবেচনা করেই একটা সিদ্ধান্ত হয়। এজন্যই সময় লাগতে পারে। এবার না হলে পরে হবে। তবে এটা নিশ্চিত যে তিস্তা চুক্তি শেখ হাসিনা সরকারের সময়েই হবে।’

তিনি বলেন, ‘৪১ বছরের সীমান্ত চুক্তি হয়েছে। সীমান্তে এখন শান্তি বিরাজ করছে। সমুদ্র বিজয় হয়েছে। এগুলো এই সরকারই করেছে। সুতরাং দেশের স্বার্থ বজায় রেখে সব হবে। শুধু সময়ের ব্যাপার। একটা কথা মনে রাখতে হবে এই সরকার দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে স্বার্বভৌমত্বকে বিকিয়ে কিছুই করবে না। ভারতের সঙ্গে সামরকি-বেসামরিক যে চুক্তিই হবে সমতার ভিত্তিতেই হবে। ২১ বছরের যে অবিশ্বাসের দেয়াল ভারতের সঙ্গে গড়ে উঠেছিল শেখ হাসিনা তা ভেঙে দিয়েছে।’

কৃষক লীগের সম্মেলন/ফোকাস বাংলা

জঙ্গিবাদ ইস্যুতে সরকার অতিরঞ্জিত করছে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, ‘শোলাকিয়া, হলি আর্টিজান, আশকোনা, চান্দিনা, খিলগাঁও ও সীতাকুণ্ডের ঘটনা এসব কি পরিকল্পিত বা অতিরঞ্জিত? যাদের মদদে জঙ্গিবাদ বিস্তার লাভ করেছে এই জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বর্তমান সরকারের কার্যক্রমের জন্যই তাদের (বিএনপি) অন্তরজ্বালা শুরু হয়ে গেছে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।’

ঢাকায় আওয়ামী পন্থী আইনজীবীদের পরাজয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী ও আওয়ামী আইনজীবী এই বিভাজন আর চলবে না। এক হতে হবে। এক হয়ে কাজ করতে হবে। এক হয়ে সম্মেলন দিতে হবে। বিভাজনের পরিণতি আর আমরা মেনে নিতে পারছি না।

কাদের বলেন, চাটুকারিতা বিরোধী দলের বিদ্বেষমূলক রাজনীতি থেকেও ভয়ঙ্কর। আমি চাটুকার দেখল ভয় পাই। আমি যা নই, তারা আমাকে তা বানায়। নেতাদের  খুশি করতে বড় বড় ব্যানার ছাপায়। এক পোস্টারে ৬০ জনেরও বেশি মানুষের ছবি দেখেছি। নেতা খুশি করার দরকার নাই।’

সভায় কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক রেজা বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন মহানগর দক্ষিণ কৃষক লীগের সভাপতি আবদুস সালাম বাবুল।

/পিএইচসি/এসটি/