শেখ হাসিনার ভাষ্য, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে হবে। জনসমর্থনও বাড়ানো দরকার। আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি। কোনোরকম দলীয় কোন্দল যেন না থাকে সেদিকে খেয়াল রেখে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যেখানে যেখানে সমস্যা আছে, তা দ্রুত মিটিয়ে ফেলা প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৮১ সালে নিঃস্ব রিক্ত হয়ে দেশে ফিরে এসে বিশাল পরিবার পেয়েছি। আমার পরিবার আওয়ামী লীগ, এই দলের সহযোগী সংগঠন, বাংলার জনগণ। আমাদের শক্তি আমার সংগঠন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা, বাংলাদেশের গণমানুষ। এজন্য কোনও সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হই না।’
সারাদেশে গৃহহীনদের জন্য সরকার ঘর করে দেওয়ার যে উদ্যোগ হাতে নিয়েছে ও যে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে, তা যেন তাদের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছায়, তা খেয়াল রাখতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। একইসঙ্গে বিধবা ও বয়স্কসহ যেসব ভাতা দেওয়া হয় সেগুলোতে যেন অনিয়ম না হয় সেদিকে সজাগ থাকতেও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও চেয়ারম্যানদের অনুরোধ করেন তিনি।
গ্রামীণ উন্নয়নে বাজেটের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গ্রামের রাস্তাঘাটের উন্নয়নে বাজেট দিচ্ছি, টাকা-পয়সা ছাড় দিচ্ছি। সেখানে যেন কোনও দুর্নীতি না হয় সে বিষয়ে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিটি টাকা যথাযথভাবে ব্যয়ের মাধ্যমে আপনারা নিজেদের এলাকার উন্নয়ন করবেন, আমি এটাই চাই।’
তৃণমূলের ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন শেখ হাসিনা। তার কথায়, ‘সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকে গ্রেফতারের পর আওয়ামী লীগসহ শিক্ষক সমাজ ও ছাত্র সমাজ প্রতিবাদ করেছিল। তবুও একটার পর একটা মামলা দিয়েছিল ওই সরকার। কিন্তু তৃণমূল নেতারা ঐক্যবদ্ধ ছিলেন বলে সেনাসমর্থিত সরকার আমাকে মুক্তি ও নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। নির্বাচনে বিরাট বিজয়ের মাধ্যমে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। আওয়ামী লীগের লক্ষ্য দেশের সার্বিক উন্নয়ন। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছি বলেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোলমডেল।’
শনিবারের বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শোক প্রস্তাব পাঠ করেছেন দলের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।
গত ২৩ জুন আওয়ামী লীগের জেলা, থানা ও উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং মেয়র ও পৌর মেয়রদের নিয়ে বিশেষ বর্ধিত সবার প্রথম পর্যায় অনুষ্ঠিত হয়। বাকি চার বিভাগের (ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুর) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মহানগরের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে পরবর্তী বিশেষ বর্ধিত সভা হবে আগামী ৭ জুলাই।
আরও পড়ুন-
আ.লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে জাতীয় নির্বাচনেও বিজয়ী হবে: প্রধানমন্ত্রী