হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে শিক্ষার্থীরা যখন ঘরে এবং শিক্ষাঙ্গনে ফিরে গেছে তখন কেউ কেউ এই আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চেয়েছিল। তাদের খেলা শেষ হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্যাডারদের এনে ঢাকা শহরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ২৫-৩০ বছরের যুবকদের এবং ৪০ বছর বয়সী মহিলাদের স্কুলের ড্রেস পরিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থী বানিয়ে সমাবেশ করিয়েছে।’
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘দাবি আদায়ের জন্য আওয়ামী লীগ অফিস অভিমুখী মিছিল নিয়ে যাওয়া হলো কেন? দাবি আদায়ের জন্য তারা তো সচিবালয় কিংবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে যেতে পারতেন। তা না করে তারা যখন আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে গেলেন তখন কারও বুঝতে বাকি নাই তারা একটি সংঘাত তৈরি করে আরও কিছু লাশ ফেলতে চেয়েছিল। যেটি করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ তা নস্যাৎ করে দিয়েছে। সুতরাং বার্নিকাটের গাড়িবহর, আওয়ামী লীগ অফিস, সাংবাদিক এবং পুলিশের ওপর দুষ্কৃতিকারীদের হামলা একইসূত্রে গাঁথা। কিছুদিনের মধ্যেই সব থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরুর ফোন আলাপ কোনও অপরাধ নয়, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন বিএনপি সাংগঠনিকভাবেই এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সরকারের কাছে আমার প্রশ্ন, এখনও আমির খসরু মাহমুদ, ফজলুল হক মিলন, মাহমুদুর রহমান মান্নাকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি? দেশবাসীর পক্ষ থেকে যারা এই আন্দোলনে উস্কানি দিয়েছে তাদের সবাইকে গ্রেফতারের জোর দাবি জানাই।’
আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সমস্ত উসকানির মধ্যেও শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সমস্ত উসকানির মধ্যেও আমাদের শান্ত থাকতে হবে। সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এবং এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে যদি দল আহ্বান করে সেক্ষেত্রে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাই।’
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জাকির আহম্মদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, তাতী লীগের কার্যকরি সভাপতি সাধনা দাশগুপ্তা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সভাপতি আল মামুন সরকার, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, শাহাদাত হোসেন টয়েল, জিন্নাত আলি খান জিন্নাহসহ অনেকে।