জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের চর: হানিফ

মাহবুব-উল আলম হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সমর্থ হন। মুক্তিযোদ্ধারা ছিল তার চোখের বিষ। তিনি ধরে ধরে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের ফাঁসি দিয়েছিলেন।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়: বিএনপির বৈধতা সংকট’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। সিটিজেন ফর রেসপনসিবল ডেমোক্র্যাসি এ বৈঠকের আয়াজন করে।

এতে বিএনপির সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ‘দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় প্রত্যাখ্যান আমাদের হতাশ করেছে। জাতির প্রত্যশা ছিল বিএনপি ক্ষমা প্রার্থনা করে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবে। কিন্তু সেটা না করে তারা ওই মিথ্যাচারের রাজনীতিতে থেকে গেলেন।’

তিনি বলেন, ‘২১ আগস্টের হামলা ছিল কালেকটিভ প্রচেষ্টা। বিএনপি এটার দায় এড়াতে পারে না।’

ড. আশিকুর রহমানের সঞ্চালনায় গোলটেবিলে বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, মানবাধিকার কর্মী খুশি কবীর, সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, শ্যামল দত্ত প্রমুখ।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, বিএনপি জন্মের শুরু থেকে বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সেই সঙ্গে বিএনপি যে একটা সন্ত্রাসী সংগঠন এটা স্পষ্ট। তাই এদেশে তাদের রাজনীতি করার আর কোনও সুযোগ নেই। তাদের এখনই রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। বিএনপি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুকে তো বিশ্বাস করেই না, উল্টো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে বারবার সমূলে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দণ্ড হওয়ার মধ্য দিয়ে তাদের রাজনৈতিক ও দলীয় সংশ্লিষ্টতা আবারও প্রমাণ হয়েছে। এরপর বাংলাদেশে বিএনপির রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার ও আইনগত বৈধতা থাকতে পারে না।