সিটি নির্বাচনে সরকার কোনও হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের

মোটরচালক লীগের সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ওবায়দুল কাদের (ছবি: সংগৃহীত)অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সিটি নির্বাচনে সরকার কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। সরকারের সব এজেন্সি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে দিয়েছেন, যেন ঢাকা সিটি নির্বাচনে কোনও ধরনের হস্থক্ষেপ কেউ না করে। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মোটরচালক লীগের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটিতে হস্তক্ষেপবিহীন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সবাইকে প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন।’

নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতাদের সংশয়ের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা (বিএনপি) বলছে, সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে সরকারি সংস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচন আর আন্দোলনে তারা পারেন না, এখন শুধু নালিশ আর নালিশ। নির্বাচন কমিশনের তাদের একজন স্থায়ী প্রতিনিধি আছে, আপনাদের এই নালিশের কোনও বাস্তবতা নেই।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগে বিদেশে যাওয়ার সময় সরকারের সব সংস্থার প্রধানদের বলেছেন, এই নির্বাচনে আমি কোনও ধরনের হস্থক্ষেপ, কোনও ধরনের বাড়াবাড়ি চাই না। কোনও এজেন্সি কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ যেন না করে। সেই ব্যাপারে ক্লিয়ার মেসেজ দিয়েছেন। কাজেই এখানে সংশয়ের কোনও কারণ নেই। শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনে জনগণ যা চায়, তাই হবে। এত কাজ করে জনগণ যদি ভোট না দেয়, জোরাজুরি, জবরদস্তি করে জনসমর্থন আদায় করে ক্ষমতায় থাকার কোনও ইচ্ছা আমার নেই।’ 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের দলকেও একই মেসেজ দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, ঘরে ঘরে যাও, জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই নির্বাচিত হবে। কাজেই আমরা সরকারে পক্ষ থেকে কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ করবো না। আগেও বলেছি এখনও স্পষ্টভাবে বলেছি। আসলে নির্বাচনে তাদের অবস্থা কী হবে, সেটা বিএনপি বুঝে গেছে। বিজয়ী হতে পারবে না বলেই তারা আজকে বিভিন্ন ধরনের নালিশ করার পথ বেছে নিয়েছে। তারা যতই অপপ্রচারই করুক দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকেই চায়, আওয়ামী লীগকেই চায়।’

সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ঘটনায় একটি পরিবারের সবার একসঙ্গে চির জীবনের জন্য প্রাণের প্রদীপ নিভে যায়, কত পরিবারে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে, সদ্য বিবাহিত স্বামী-স্ত্রী লাশ হয়ে যাচ্ছে। বাবা-মা মারা যাচ্ছে। এসব খবর আমাকে খুব কষ্ট দেয়। মন্ত্রী হিসেবে দুর্ঘটনার দায় আমি এড়াতে পারি না। চালকদের বলি, গাড়ি চালাতে গিয়ে বেপরোয়া হবেন না। আপনারা সতর্কভাবে গাড়ি চালাবেন। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলফোনে কথা বলবেন না।’ গাড়ি চালানোর সময় চালকদের কোনও মাদক না নেওয়ারও অনুরোধ করেন তিনি।