৭ ও ২৭ মার্চের ঘোষণার মধ্যে খুব বেশি ফারাক নেই: জাফরুল্লাহ

মানববন্ধনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীগণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনি একটা ভুল কথা বলেছেন যে, কোনও মেজরের বাঁশির ফুঁ দিয়ে স্বাধীনতা হয় না। কিন্তু সে সময় সেই বাঁশির ফুঁটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যেমন ৭ মার্চ সবাইকে আকর্ষণ করেছিল, তেমনি সেই সময়ে দেশবাসী অপেক্ষা করেছিল কোনও মেজরের বাঁশির ফুঁয়ের জন্য। ৭ ও ২৭ মার্চের ঘোষণার মধ্যে খুব বেশি ফারাক নেই।’

রবিবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুৎ ও পানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘৭ মার্চ নিঃসন্দেহে স্বাধীনতার সূচনা হয়েছিল। ত‌বে মনে রাখতে হবে, ৭ মার্চের ভাষণ তৈরি করেছিলেন কামাল হোসেন, তাজউদ্দীন আহমদ, নজরুল ইসলাম সবাই মিলে। সবচেয়ে বড় অবদান ছিল সিরাজুল আলম খানের। তিনি যোগ করেছিলেন এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। সেই কথাটা শেখ মুজিবুর মুখ দিয়ে বের হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ তার কথা আজ বলে না।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সবাইকে সম্মান করা শিখুন। জিয়াউর রহমানকে ছোট করে শেখ মুজিব বড় হবে না। দিনের আলো দেখতে চেষ্টা করুন। ভারতকে চিনতে শিখুন। মোদির আসা বাতিল করুন। তা না হলে দেখবেন ১৭ মার্চ প্রতিবাদ হবে। আপনার পুলিশকে সংযত থাকতে বলুন, তা না হলে দেশে রক্তক্ষয়ী মারামারি হবে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ১১ তারিখ আপনাদের আন্দোলন যুক্তিসঙ্গত। তার সঙ্গে বাংলাদেশে নরেন্দ্র মোদি আসার বিরুদ্ধে কথা বলুন। তাহলে দেখবেন জনগণ আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’

জাফরুল্লাহ বলেন, ‘ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলছে। এর মূলহোতা মোদি। তাকে কোনোক্রমেই বাংলাদেশে আসতে দেওয়া উচিত হবে না।’

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।