বঙ্গবন্ধু ফিরে না এলে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়তো: আমু

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব স্থিতিশীলতা লাভ করে। বঙ্গবন্ধু ফিরে না এলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৈৗমত্ব হুমকির মুখে পড়তো।’

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমু বলেন, ‘স্বাধীনতার পর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে থাকা অস্ত্র সমর্পন এবং মিত্র বাহিনীর সদস্যদের ভারতে ফেরত পাঠানো অসম্ভব হয়ে পড়তো। বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে অসার কারণেই স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি আদায় দ্রুত সম্ভব হয়েছে।’ স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে দেশবিরোধী নানান ষড়যন্ত্রে মেতেছে অভিযোগ করে ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিল অপূর্ণ। তাঁর ফিরে আসার মধ্য দিয়ে বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষা পরিপূর্ণতা পায়। অর্থপূর্ণ হয়ে ওঠে স্বাধীনতা।’

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন,  ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অতীব জরুরি  ছিল।’

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের শক্তিশালী রাষ্ট্রের বুনিয়াদ তৈরি করে গেছেন বঙ্গবন্ধু্। তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশে আর সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটতো না।’

আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টি-জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীসহ ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা।