‘ইউএনও’র বাসভবনে হামলায় দলের কেউ থাকলেও ছাড় দেওয়া হবে না’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,

বরিশালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলার ঘটনায় যারাই জড়িত থাক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ‘নিজ দলের হলেও কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকেও বলেছেন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকেও বলে দিয়েছেন— ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে যারা যারা জড়িত, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমি বরিশালের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলেছি। তাকে জিজ্ঞেস করেছি, সেখানে কী পরিস্থিত? তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা আওয়ামী লীগ, বিএনপি নয়। নিজেদের দলের কেউ অন্যায় করলে শাস্তি দিয়েছে এমন কোনো দৃষ্টান্ত বিএনপির আমলে নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ আমলে শেখ হাসিনা আপন লোকদের সাজা, কিংবা দণ্ড দিয়ে এবং জেলে পাঠিয়ে প্রমাণ করেছেন আওয়ামী লীগ অন্যয়াকারীদের ছাড় দেয় না। বিএনপি এদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালনই প্রমাণ করে বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে।’

তথ্যপ্রমাণসহ খালেদা জিয়ার জন্মদিন কবে তা প্রকাশ করতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সত্যকে কখনও চাপা রাখা যায় না।’

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সহযোগিতা করেছিলেন। এই সেদিনও তারা আন্দোলনে নামে কী করলো! গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলা তাদের সেই পুরনো অভ্যাস।’

তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের ড্রিম প্রজেক্ট পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেল— এগুলো বিএনপি কোনোদিন কল্পনাও করতে পারেনি। অথচ চন্দ্রিমা উদ্যানে যেতে নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের স্থাপনার ওপর তারা হামলা করলো। সেখানে বিদেশিরা কর্মরত। মেট্রোরেলের চারটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। ড্রাইভারকে গুরুতর আহত করেছে। আর ঘটনা ঘটানোর পরে তারা সেই পুরনো কথারই পুনরাবৃত্তি করেছে।’

মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় আরও  বক্তব্য রাখেন— আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম প্রমুখ।