খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করা বিএনপির উদ্দেশ্য: তথ্যমন্ত্রী 

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য রক্ষা করা বিএনপির উদ্দেশ্য নয়, তাদের উদ্দেশ্য তার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করা।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। খালেদা জিয়া জিঘাংসাপরায়ণ হওয়া সত্ত্বেও, জন্মের তারিখ বদলে কেক কাটার পরও এবং তার আমলে প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে গ্রেনেড হামলা করিয়ে হত্যার পরিকল্পনা সত্ত্বেও, খালেদা জিয়ার ছেলের মৃত্যুতে তার দরজার সামনে আধঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও, দরজা না খোলা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহানুভূতিশীল।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া কী রকম জিঘাংসাপরায়ণ তা আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানিয়ে দেওয়া দরকার, সেজন্য কথাগুলো বললাম।’

এসব সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী সহানুভূতিশীল হয়ে তার (খালেদা জিয়া) শাস্তি স্থগিত রেখে তাকে কারাগারের বাইরে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। তার পছন্দ অনুযায়ী হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। সাধারণত একজন শাস্তিপ্রাপ্ত আসামির সরকারের তত্ত্বাবধানেই চিকিৎসা হওয়ার কথা। কিন্তু সেটি না করে তার বা তাদের পছন্দ অনুযায়ী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। খালেদা জিয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী, সরকার সহানুভূতিশীল। কিন্তু তাদের বিদেশে নিয়ে যাওয়ার যে দাবি, তার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য যুক্ত। বিএনপি নেতারা যেভাবে কথা বলছেন, তারা বিএনপিপন্থী ডাক্তারদের দিয়ে যেভাবে কথা বলিয়েছেন—এগুলোর সবকিছুর মধ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য যুক্ত। সুতরাং, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য রক্ষা বিএনপির উদ্দেশ্য নয়, বিএনপির উদ্দেশ্য তার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করা। কারও স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করার ক্ষেত্রে সরকার সহযোগিতা করতে পারবে না। সহযোগিতা করতে পারবে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য যাতে ভালো থাকে। তিনি বাংলাদেশে সর্বোচ্চ চিকিৎসা যেন পান, সে জন্য সরকার যেকোনও পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।’