বিএনপি অন্যের মাধ্যমে সার্চ কমিটিতে নাম পাঠাচ্ছে: হানিফ

বিএনপি সরাসরি না দিয়ে আরেকজনের মাধ্যমে সার্চ কমিটির কাছে নাম দেওয়াচ্ছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি বলেছে, তারা সার্চ কমিটিতে নাম দেবে না। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেব কার? আমরা তো জানতাম, উনি খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা। তিনি যদি নাম দেন, সেই নামটা বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া হয় না? আমরা তো সেটা বলতে পারি।’

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন হানিফ।

তিনি  বলেন, ‘তারা রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি করছে। বিএনপি সকালে এক কথা বলে, বিকালে আরেক কথা বলে।’

হানিফ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আইনানুযায়ী গঠিত সার্চ কমিটি সবার সঙ্গে আলাপ করে নাম সংগ্রহ করেছে। এখন যাচাই-বাছাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে ১০টি নাম প্রস্তাব করবে। রাষ্ট্রপতি সেই নাম থেকে ৫ জনের কমিশন গঠন করবেন।’

বিএনপি নাম না দেওয়ায় নতুন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে  মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘কেন প্রশ্নবিদ্ধ হবে? কোনও একটি দল নাম দিলে কী দিলো না, এই জন্য কি নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হবে? বিএনপি যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল, তারা কার সঙ্গে আলাপ করে কমিশন গঠন করেছিল? কারও সঙ্গে আলাপ করেই করেনি। খালেদা জিয়া নাম পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে কমিশন গঠন করেছিলেন।’

হানিফ বলেন, ‘সে সময় তারা কোনও দলের সঙ্গে আলাপ করেছিল? এখন তো আইনও করা হয়েছে। সেই মতো কমিশন গঠন করা হবে। তারপরও এটা নিয়ে যদি কেউ প্রশ্ন করে বুঝতে হবে, তারা দেশের নির্বাচন ও রাজনীতিকে সুষ্ঠু দেখতে চায় না। যারা রাজনীতিকে সবসময়ই একটি অস্বস্তিকর ও বিভ্রান্তিকর রাখতে চায়, তারাই এই ধরনের প্রশ্ন তুলতে পারে।’

আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত নামের বাইরে থেকে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ হলে তারা সাধুবাদ জানাবে বলে জানান দলটির এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘নাম বাছাই করা সার্চ কমিটির এখতিয়ার। তারা প্রস্তাবিত নাম থেকে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবে। সেই নাম আমাদের থেকে দেওয়া হোক বা না হোক। আমরা মনে করি, একটি ভালো নির্বাচন কমিশন গঠনই কাম্য। সেটাই আমরা প্রত্যাশা করি।’

তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি যখন সংলাপ ডেকেছিলেন, তখন বিএনপি বলেছিল, ‘আমরা আইন চাই।’ সে সময় আমাদের আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আইন দ্রুত করা কঠিন হয়ে যাবে।’ বিএনপি মহাসচিব বলেছিলেন, ‘সরকার চাইলে একদিনেই আইন করতে পারবে।’ এই আইন সংসদে পাস হওয়ার আগে আলোচনায় তাদের দলীয় এমপিরা মতামত দিয়েছিলেন।’’

তিনি বলেন, ‘এই বিলটা সর্বজনীনভাবে গৃহীত হয়েছে। এখন তারা বলছে, সরকার তড়িঘড়ি করে বিল পাস করেছে। এটা দুরভিসন্ধিমূলক। এটা পরস্পরবিরোধী বক্তব্য। সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করাই তাদের রাজনীতি। তাদের ক্ষমতায় থাকাকালীন অপকর্মের দায়ভার আরও অনেক দিন দিতে হবে।’