সারাবিশ্বে সয়াবিন তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী, কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তেল, জ্বালানিসহ সবকিছুর দামই সারাবিশ্বে ঊর্ধ্বমুখী। বাংলাদেশতো কোনও আইসোলেটেড আইল্যান্ড না। কাজেই এর প্রভাব সব জায়গায় পড়বে, কিছু করার নেই।’

শুক্রবার (৬ মে) রাজধানীর সাইনবোর্ড এলাকায় নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দেশে সয়াবিন তেলের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তেলের দামে প্রভাব পড়ছে।’

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা সত্যিকার অর্থে একজন ক্রাইসিস ম্যানেজার। ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবে তিনি করোনা সংকটের সময়েও তার দূরদর্শিতা দিয়ে সমস্যা সমাধান করেছেন। সংকট আসবেই, পৃথিবীতে চলতে গেলে সংকট আসবেই। কিন্তু সেই সংকট মোকাবিলা করার মতো সততা ও সাহস আমাদের প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে এবং তিনি তা করে দেখিয়েছেন।’

কাদের ২

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারাই বলেন এবারের ঈদ কেমন ছিল? আসল কথা হল মানুষ যখন আনন্দ পায় বিএনপি তখন কষ্ট পায়, তাদের গায়ে জ্বালা হয়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ঈদে মানুষের আনন্দটা হাসিমুখে দেখেছি। ঘরমুখো মানুষের ভেগান্তি হয়নি। এ কারণে আমি খুব খুশি। যে কারণে ঈদটা ভালোই কেটেছে।’

এবার সড়কে ঈদযাত্রা স্বস্তির কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘সড়কের অবস্থা অতীতের যেকোনও সময়ের চেয়ে ভালো। দ্বিতীয়ত হাইওয়ে পুলিশ, মালিক শ্রমিক, রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে; এরা সবাই সবার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে। তাছাড়া উত্তরবঙ্গে রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে নতুন প্ল্যান করে ব্যবস্থা করেছে। তিনটা ফ্লাইওভার করা হয়েছে। এটা আমরা নতুন করে করেছি। এ কারণে এবার ঝুঁকিও কম ছিল।’

নারায়ণগঞ্জের লিংকরোড প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে ছয় লেনের রাস্তা হবে। ৩৬৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে আগামী বছরের মধ্যে কাজটা শেষ হবে, ইনশাআল্লাহ।’

উল্লেখ্য, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি ৮ দশমিক ১০৫ কিলোমিটার। কাজটি সম্পন্ন করতে ৩৬৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের জুনে প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৪৫ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে।