বিএনপির রাজনীতি পদ্মা নদীর মাঝে ডুবে গেছে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বিএনপির রাজনীতি পদ্মা নদীর মাঝখানে ডুবে গেছে। তাই প্রথমে তারা আবোল-তাবোল বলেছিল। এখন বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে, কী বলবে বুঝতে পারছে না। আমি আশা করবো, তারা তাদের রাজনীতি পদ্মা নদীর মাঝখান থেকে উদ্ধার করতে পারবে এবং অতীতের অপকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে জনগণের কাছে যাবে।’

মঙ্গলবার (২৮ জুন) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সবুজবাগ থানার ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের  ইউনিটগুলোর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

সম্মেলনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি  আবু আহমদ মন্নাফী উদ্বোধক ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর প্রধান বক্তা হিসেবে এবং সহ-সভাপতি শদীদ সেরনিয়াবাত,  সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আর দেড় বছর পরে নির্বাচন। এখন বিএনপিকে দেখা যায় না, মাঝেমধ্যে গর্ত থেকে উঁকি দিয়ে  চোরাগোপ্তা মিছিল করে। আইনগতভাবেই খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নির্বাচন করার কোনও সুযোগ নেই। সেজন্য তারা নির্বাচনে যাবে কিনা, সে নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকে। তবে যত কথাই বলুক, আগামী নির্বাচনে তারা অংশ নেবে এবং নির্বাচনের আগে গর্তের ভেতর থেকে বেরিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে। ২১ বছর ধরে যারা বুকে পাথর বেঁধে দল করেছে, সব রক্তচক্ষু, ষড়যন্ত্রের মধ্যেও দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছে, তাদেরকেই নেতৃত্বে দরকার। যারা গত সাড়ে ১৩ বছরে নতুন আওয়ামী লীগ হয়েছে তারা বিরোধী দল দেখে নাই, শুধু ক্ষমতা দেখেছে। সুতরাং, তাদেরকে নেতৃত্বে আনার কোনও প্রয়োজন নেই। ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হবে। কোনও নেতাকর্মীর আচরণের জন্য আমরা দলের মর্যাদা বিসর্জন দিতে পারি না। আর মাদক,দখল-চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িতদের বর্জন করুন। আমাদের দলে তাদের দরকার নেই।’

ড. হাছান বলেন, ‘সংসদে বিএনপি নেতারা বলেছেন, শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার। আমরাও চাই আপনারা শক্তিশালী হোন। কিন্তু তারা একে একে যেসব আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেয়, সে কারণে তারা শক্তিশালী হতে পারে না। আশা করবো, তারা আত্মহননের সিদ্ধান্ত পরিহার করে নিজেরা শক্তিশালী হবে। দেশের গণতন্ত্রকেও শক্তিশালী করবে।’