বিএনপি ‘আয়নাঘরের’ সৃষ্টি করেছে: হানিফ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ‘আয়নাঘরের’ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ।

তিনি বলেন,  ‘‘এ দেশে জঙ্গিদের তীর্থস্থান বানিয়েছে বিএনপি। আয়নাঘর নাকি আওয়ামী লীগ তৈরি করছে। বিএনপি প্রায়ই বলে, ‘২০০৭ সালে তারেক রহমানকে অত্যাচার করা হয়েছে আয়নাঘরে।’ সেই সময় তো বিএনপি সমর্থিত সেনাশাসক ছিল। তার মানে পরোক্ষভাবে আয়নাঘরের সৃষ্টি বিএনপি করেছে।’’

রবিবার (২৮ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আইইবির সেমিনার হলে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে ‘আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ক্ষমতা দখলের হত্যাকাণ্ড ছিল না। ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র।  বিদেশিরা এখনও বলে, বাঙালি জাতিকে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আর বিশ্বাস করা যায় না। বঙ্গবন্ধু একজন বিশাল মাপের নেতা ছিলেন। আমরা উনাকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারিনি।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একজন বিশ্ববন্ধু ছিলেন। আমরা দুর্ভাগা যে বঙ্গবন্ধুকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারিনি। পঁচাত্তরের খুনিদের ফাঁসি নিশ্চিত করা গেলে এরকম হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি হতো না।’

হানিফ আরও বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বিএনপি রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিকে ধ্বংস করেছে। তখন এ হামলার মামলাও নেয়নি সরকার। কী নিষ্ঠুর অমানবিক হলে এ ঘটনা ঘটাতে পারে। সে ঘটনায় পাকিস্তান দূতাবাস জড়িত ছিল। কারণ, ১৯৭১ সালে জামায়াত ছিল এ দেশে পাকিস্তানের সৈনিক। আর সেই সৈনিকদের নিয়েই বিএনপি রাজনীতি করছে। বাংলাদেশকে ব্যর্থ করার চেষ্টা বিএনপিই করে। ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট সব  হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী বিএনপি এবং জামায়াত। সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে।’

জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রান্তকারী যদি না হতেন, তাহলে কেন ইনডেমনিটি আইন বাতিল করেননি? জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা দাবি করলেও উনিই মুক্তিযুদ্ধের সবকিছু চিহ্ন নিশ্চিহ্ন করেছেন। জামায়াতে ইসলামের আমির গোলাম আযমকে এই দেশের রাজনীতিতে স্থান করে দিয়েছেন। আর বিএনপি তা অব্যাহত রেখেছে।’

বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার এম. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ইঞ্জিনিয়ার খায়রুল বাসারের সঞ্চালনায় বক্তব্য আরও বক্তব্য রাখেন—বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, আইইবির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুল হুদা, প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন শীবলু, এস এম মঞ্জুরুল হক, রনক আহসান, মনির হোসেন, ওয়ালিউল্লাহ শিকদার, আবুল কালাম হাজারী, শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।