বিএনপি-জামায়াত কখনও আলাদা হবে না: হানিফ

বিএনপি-জামায়াত কখনও আলাদা হবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই দ্বারা বিএনপি-জামায়াতের সৃষ্টি হয়েছে। তারা আইএসআইয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী বিএনপি-জামায়াত একে অপরের পরিপূরক। তারা কখনও আলাদা হতে পারে না, কখনও হবেও না।

সোমবার (২৮ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

‘বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছেড়ে দিয়েছে জামায়াত’ গণমাধ্যমের এমন খবর প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ২০ দলীয় জোট এখন কার্যকর নেই। তারা আর বিএনপির সঙ্গে নেই। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, বিএনপি-জামায়াত কখনও আলাদা হতে পারে না। এটা তাদের রাজনৈতিক কৌশল। কারণ বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান ছাত্রশিবিরের এক সমাবেশে বলেছিলেন, ছাত্রশিবির-ছাত্রদল এক মায়ের পেটের দুই ভাই। আর এক মায়ের দুই সন্তান বিএনপি ও জামায়াত।’

তিনি বলেন, ‘জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এখন বিচ্ছেদের কথা প্রচার করছে তারা। বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি যতদিন সক্রিয় থাকবে ততদিন ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ হবে না। পাকিস্তানের দোসর বিএনপি-জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করে দিতে হবে। এদের রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’

বিএনপি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছিলেন। আওয়ামী লীগকে ছিন্নভিন্ন করেছিলেন। তার লক্ষ্য ছিল, আওয়ামী লীগকে যদি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া যায় তাহলে বাংলাদেশে আর কখনও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করেছেন। পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তাদের লক্ষ্য ছিল একটাই– আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারলে পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারবে।’

আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করেছেন। মুফতি হান্নান স্বীকারোক্তিতে বলেছেন– তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু, হারিছ চৌধুরী, জামায়াতের সেক্রেটারি আলী আহসান মুজাহিদ, মাওলানা তাজউদ্দিন, পাকিস্তানের জঙ্গী মজিদ ভাটকে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। আজ ইতিহাস উন্মোচন হয়েছে। তবু এখনও তারা মিথ্যাচার করছে।’

বিএনপি-জামায়াতকে বয়কট করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে দেশের উন্নয়ন করতে পারেনি। তাই শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চক্রান্ত করে যাচ্ছে। আসুন, বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিরোধ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্নের সোনার বাংলার দিকে এগিয়ে যাই।’

যুব মহিলা লীগ সভাপতি নাজমা আকতারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন– আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট অপু উকিল প্রমুখ।