ঐক্যবদ্ধ আ.লীগকে হারানোর ক্ষমতা কারও নেই : ডেপুটি স্পিকার

‘অগ্নিসন্ত্রাস, মাদক ও অপরাজনীতিকে রুখে দিতে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগতে হবে। আওয়ামী লীগের কর্মীরা জেগে থাকলে কোনও সংকটই দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে পারবে না। এই এলাকার প্রতিটি ঘরকে আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে হারানোর ক্ষমতা কারও নেই।’

শনিবার (২২ অক্টোবর) পাবনার সাথিয়ার কাশীনাথপুর কলেজ মাঠে আয়োজিত কাশীনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু।

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সহকারী পরিচালক (গণসংযোগ) মো. শোয়াইবের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।

দেশ ও দলের জন্য শেখ হাসিনার আত্মত্যাগ সম্পর্কে সাবেক মন্ত্রী টুকু বলেন, ‘১৯৭৫ সালে পিতা-মাতাসহ পরিবারকে হারিয়ে ছয় বছর পর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফেরেন। তারপর জনকল্যাণে পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করেন তিনি। শেখ হাসিনার জায়গায় অন্য কেউ হলে আজ পাগল হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরত। অথচ কী এক মহিমায় বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তার নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের বিস্ময়। জাতির পিতা ও তার পরিবারের নেতৃত্বই সারা বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচয়কে উজ্জ্বল করে তুলেছে।’

আওয়ামী লীগের কর্মীদের কোনও পদপদবি লাগে না মন্তব্য করে শামসুল হক টুকু বলেন, ‘তারা জাতির পিতার আদর্শভিত্তিক চিন্তা-চেতনায় সমৃদ্ধ। আদর্শ নেতা-কর্মীদের কখনও বিভ্রান্ত করা যায় না। তারা দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। স্বাধীনতার পর প্রতিটি সংকটেই তারা দলের প্রয়োজনে পাশে ছিলেন। কর্মীদের ত্যাগের বিনিময়েই জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত,  সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনের কক্ষপথে রয়েছেন।’

নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যায় নারীদের সংখ্যাই বেশি। দেশের উন্নয়নে তাই রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি রুয়ান্ডায় অনুষ্ঠিত ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নে নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিশ্বের শীর্ষ দেশের পার্লামেন্টারিয়ানরা।’

শনিবার সম্মেলনের আগে বেড়ার কেন্দ্রীয় কবরস্থানে কবর জিয়ারত শেষে কবরস্থান-সংলগ্ন মাঠে শিশুদের খেলা উপভোগ করেন তিনি। পরে তাদের খেলার প্রতি উৎসাহ দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘মাদক-ধূমপান থেকে দূরে থেকে খেলাধুলার সঙ্গে থাকতে হবে। সুস্থ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।’

সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত গাওয়া ও পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও গীতা পাঠ করা হয়।

মীর মঞ্জুর ইলাহীর সভাপতিত্বে সাথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার, সাথিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মো. তপন হায়দার সান, বেড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আসিফ শামস রঞ্জন, মো. হাসান আলী খান, সাথিয়ার পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু, মো. রবিউল করিম হিরু, নজরুল ইসলাম, আব্দুল মালেক বাবলু, সাখাওয়াত হোসেন সাজ্জাদ, এস এম আলমগীর হোসেন, শ্রী কার্তিক সাহা বক্তব্য দেন।

এ ছাড়া বেড়া-সাথিয়ার স্থানীয় আওয়ামী নেতারা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।