ঢাবিতে বিএনপি সমর্থক খুঁজছে ছাত্রলীগ, হেনস্তার অভিযোগ

বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হল শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শাহবাগ, টিএসসি, শহীদ মিনার, হাইকোর্ট, নীলক্ষেত মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এসময় বিএনপি কর্মী সন্দেহে পথচারীদের হেনস্থার অভিযোগ এসেছে তাদের বিরুদ্ধে। তবে এমন অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।

বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, প্রবেশপথগুলোতে পথচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পথচারীদের মোবাইল, আইডি কার্ড চেক করছে ছাত্রলীগ। কারও ফোনে ‘সন্দেহজনক’ কিছু পেলে মারধর করে পুলিশের সাথে তুলে দিচ্ছে তারা। 

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (দুপুর ২টা) ১০-১২ জনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বলে জানিয়েছে ছাত্রলীগ সূত্র। তবে শাহবাগ থানার ওসি নুর মোহাম্মদ জানান, পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।

ছাত্রলীগ২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পথচারীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভেতর দিয়ে যারা যাতায়াত করছে এদের মধ্যে কাউকে সন্দেহ হলে তাদের রিকশা বা গাড়ি থেকে নামিয়ে তল্লাশি করছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে মোবাইলের ফটো গ্যালারি এবং ডাটা চালু করে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার চেক করে তারা। 

ভুক্তভোগীরা জানান, ফেসবুকে যদি কোনোধরনের বিএনপি রিলেটেড পেইজে লাইক দেওয়া থাকলে ছাত্রলীগের জেরার মাত্রা বেড়ে যায়। ছবি বা পোস্ট পাওয়া গেলে শুরু হয় মারধর। সম্মিলিতভাবে কিল ঘুষি এবং লাথি দিতেও দেখা যায়।

পথচারীদের অনেকেই প্রশ্ন করেন, মোড়ে মোড়ে সাধারণ নাগরিকদের পথরোধ করে, যানবাহন থেকে নামিয়ে ছাত্রলীগের তল্লাশি করার আইনি ভিত্তি আছে কিনা?’

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে সাথে নিয়ে, প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোকে সাথে নিয়ে আমরা একত্রিত হয়েছি বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।’ 

তিনি বলেন, ‘রাজনীতির ভাষা হিসেবে আগুনকে ব্যবহার করা, রাজনীতির ভাষা হিসেবে হত্যাযজ্ঞকে ব্যবহার করা; এসবের প্রতিবাদে আমরা অবস্থান করছি। এটি রাজনৈতিক অবস্থানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে, সেখানে সাংস্কৃতিক আয়োজনও রয়েছে। মিছিল-মিটিংয়ের মধ্যে আমাদের কর্মসূচি সীমাবদ্ধ রয়েছে। এর বাইরে কোনও কর্মকাণ্ডের সাথে বাংলাদেশে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা নেই।’