উকিল আব্দুস সাত্তারকে রাখতে না পারা বিএনপির ব্যর্থতা

উকিল আব্দুস সাত্তারকে ধরে রাখতে না পারাকে বিএনপির বড় ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য- ‘মাগুরার নির্বাচনকেও হার মানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাচন’, এ নিয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘সেখানে যেহেতু আওয়ামী লীগের কোনও প্রার্থী ছিল না, সেহেতু আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা যে কাউকেই পছন্দ করতে পারে। সেটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার। সেখানে কারও জন্য কাজ করার দলীয় কোনও নির্দেশনা ছিল না। যে যার পছন্দ মতো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসনে আমরা প্রার্থী দেইনি। সুতরাং, সেখানে উকিল আব্দুস সাত্তার সাহেবকে বিএনপি ধরে রাখতে পারেনি, এটা তো বিএনপিরই বড় ব্যর্থতা।’

বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতর সম্মেলন কক্ষে ‘উন্নয়নের নব দিগন্ত’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

প্রধান তথ্য কর্মকর্তা শাহেনুর মিয়া, সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার মুন্সী জালাল উদ্দীন, খালেদা বেগম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

পয়লা ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৬ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মাত্র ৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলাম এবং সেসব আসনে আমাদের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে জয়লাভ করেছে এবং নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। উপনির্বাচনে সবসময় ভোটার উপস্থিতি কম থাকে। যেখানে এক বছরের কম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হবে, সেই বিবেচনায় এই উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি খুব কম নয় এবং অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দরভাবে নির্বাচন হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ শতাংশ মানুষ ভোটার হয় না। আবার যারা ভোটার হয়, সেখান থেকে অর্ধেক উপস্থিত হয়। সার্বিকভাবে ২৫ শতাংশ ভোট পড়ে সেখানে। সে হিসাবে যেহেতু উপনির্বাচনে এক বছরে কম সময়ের জন্য এমপি নির্বাচিত হবে, সে হিসেবে ভালো হয়েছে।’