অবৈধ দলের অবৈধ মহাসচিব মির্জা ফখরুল: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারা বিশ্বের যে দুর্দিন তার প্রতিক্রিয়া আজকে বাংলাদেশে। এই দুর্দিনে অনেক রাজনৈতিক বৈপরীত্য দেখা যাচ্ছে। বিএনপি নামে একটি অবৈধ দল, অবৈধ ব্যক্তির হাতে গড়া অবৈধ দল, সেই অবৈধ দলের অবৈধ মহাসচিব মির্জা ফখরুল। বিএনপির সংবিধানের কোথায় আছে তিনি ১২ বছর দলের মহাসচিব থাকতে পারবেন। সে কি পদের বৈধতা হারায়নি? তিনি যে পদত্যাগ দাবি করেন, তার নিজেরই তো পদত্যাগ করা উচিত। বিএনপির সংবিধান অনুযায়ী তো তিনি অবৈধ।

বুধবার (২২মার্চ) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর কত কিছু হলো। তাদের স্বপ্ন খালেদা জিয়া দেশ চালাবেন। তারা সরকার পতনের আন্দোলন করবেন। আন্দোলনের জন্য পল্টন তো পেলেনই না, পেলেন গোলাপবাগের গরুর হাট। দৌড়ের আন্দোলন হলো নীরব পদযাত্রা, পদযাত্রা দাঁড়িয়ে মানববন্ধন। বিএনপির আন্দোলন চোরাবালিতে আটকে গেছে। বিএনপির অবস্থা জয়নুলের শিল্পকর্মের গরুর গাড়ির মতো।

বিএনপি দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল নাকি বলে আমরা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছি। ফখরুল গণতন্ত্রকে তোমরা কবর দিয়েছো। গণতন্ত্র হত্যা বিএনপি করেছে, তাদের হাতে এ দেশ আর যাবে না। শেখ হাসিনা মেরামত করেছে, তাদের হাতে এ দেশ আর ফিরিয়ে দেবে না। তাদের সরকার পতনের আন্দোলন ভুয়া, সাতাশ দফা ভুয়া, পদযাত্রা ভুয়া। তাদের নেতাও ভুয়া। তারেক রহমান দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন, শুধু পালাননি, আর রাজনীতি করবেন না বলে লিখিত দিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন। যার শক্তি কমে যায়, মুখের বিষ উগরে ওঠে। শক্তি কমে গেছে, চোরাবালিতে আটকে গেছে। পথ নাই পালাবার, কাজে বড় বড় কথা ছাড়ুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত মাথা থেকে নামিয়ে ফেলুন। ওই ভূত আর বাংলাদেশ গ্রহণ করবে না।

এ সময় তিনি ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে বলেন, নেত্রী অনেক যাচাই-বাছাই করে এই কমিটি দিয়েছেন। তাকে হতাশ করবে না। পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার সময়, যাদের সন্ত্রাসী মানসিকতা, চাঁদাবাজির মানসিকতা, সিট বাণিজ্যের মানসিকতা, যাদের কমিটি বাণিজ্য করার মানসিকতা, যাদের মাদকের মানসিকতা, তাদের কমিটি থেকে বাদ দাও। এই কমিটির প্রতি আমাদের অনেক আশা। অনেক দিনের পচা-গলিত জিনিস এখনও রয়েছে গেছে। প্রয়োজনে অপারেশন করে বিষফোঁড়া বাদ দিতে হবে। এগুলো না থাকলে ছাত্রলীগের কোনও ক্ষতি হবে না। ইদানীং অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, যা আমাদের লজ্জিত করে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কেউ যেন ছাত্রলীগের কমিটিতে জায়গা না পায়। খারাপে স্মার্ট লোকদের আমাদের দরকার নেই। ভালো কাজে স্মার্ট হতে হবে।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগের সদস্য তারানা হালিম।