‘দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার আর প্রশ্নই ওঠে না’

বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার প্রশ্নই ওঠে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো একটা ডেড ইস্যু। এটি সংবিধানেও নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট)  জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা  সভায় এসব কথা বলেন তিনি। 

কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সাংবিধানিক পন্থায় ২০০১ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। আজকে তারা (বিএনপি) বলে ক্ষমতা ছেড়ে যেতে হবে, পদত্যাগ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে— গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য। নির্বাচনের পর সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। এটাইতো সংবিধানের কথা। এর বাইরে তো কোনও সুযোগ নাই। আজকে তারা (বিএনপি) বলছে— পদত্যাগ করতে হবে, নির্বাচন করতে দেবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হতে দেবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো একটা ডেড ইস্যু। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশে আসার আর কোনও প্রশ্নই ওঠে না, এটা সংবিধানে নেই।’

তিনি বলেন, ‘২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমরা দেখেছি। তিন মাসের তত্ত্বাবধায়ক  সরকার দুই বছর থেকে গিয়েছে। আমাদের সেই অভিজ্ঞতা আছে। এরা (বিএনপি) চায় অনির্বাচিত সরকার। এরশাদ ও জিয়ার মতো পরিবর্তন। সে রকম একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। সংবিধান সংশোধন করতে চায় ওই রকমভাবে ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য। এরা সংবিধান,  আইন- আদালত কিছুই মানে না।’

তারেক রহমানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তার বক্তব্য তাদের দল ফেসবুক,  ইউটিউব সবখানে প্রচার করছে। যেখানে আমাদের মিডিয়াগুলো সেটা প্রচার করছে না আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায়। একজন পলাতক আসামির বক্তব্য-বিবৃতি এভাবে প্রচার করবে, এটা কোনও অবস্থাতেই যৌক্তিক না। আমরা তো সভ্য জগতে বাস করছি, অসভ্য জগতে বাস করছি না। একজন খুনি, পলাতক আসামির বক্তব্য এভাবে প্রচার হবে, এটাতো হতে পারে না।’

জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বেগম মুজিব তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন স্বামীর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য। আর আজকে প্রধানমন্ত্রী তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০ ঘণ্টাই উৎসর্গ করে দিচ্ছেন পিতা-মাতার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে এদেশের মানুষকে একটি উজ্জ্বল আলোকিত ভবিষ্যৎ উপহার দেওয়ার জন্য। এ জন্যই তার নিরন্তন সংগ্রাম ও পথচলা।’

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম মৃধার সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম,  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।