আদিলুর টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে বিদেশিদের বিভ্রান্ত করেছে: আব্দুর রাজ্জাক

আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত আদিলুর রহমান টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে বিদেশিদের বিভ্রান্ত করেছেন বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, হেফাজত নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। কিছু সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, কিছু লবিস্ট বিএনপি-জামায়াত ধর্মান্ধদের টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দেয়।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিএনপির ভাষায় আরেকটি রেজুলেশন নিয়েছে। আপনারা বাংলাদেশে টিম পাঠান। আপনারা বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই, মানবাধিকার হুমকির মুখে। মানবাধিকার কি শুধু মিথ্যাচার করা? আপনারা সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কথা বলেন। বাংলাদেশের দুই-এক ভাগ সংখ্যালঘু যদি বলে, আওয়ামী লীগ তাদের নিরাপত্তা দেয়নি, সবচেয়ে ভালো অবস্থানে নেই, আমরা এ দেশে সরকারে থাকবো না।

তিনি আরও বলেন, এ দেশের হিন্দু, খ্রিষ্টান, গারো-চাকমা প্রত্যেক মানুষ আওয়ামী লীগের পক্ষে। এই সংখ্যালঘুদের ৯৯ ভাগ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালে ৫ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে হেফাজত সমাবেশ করেছিল। আমি সেদিন খুব কাছে থেকে দেখেছি, তাদের খুব অনুরোধ করেছিলাম সমাবেশ শেষ করতে। সন্ধ্যার দিকে সরকারের কাছে খবর এলো তারা সমাবেশ থেকে উঠে যাবে না। রাতের মধ্যে তারা গণভবন ও সচিবালয় ঘেরাও করে সরকারের পতন ঘটাবে।

তিনি বলেন, রাত ৮টার দিকে কী দেখেছিলাম? খালেদা জিয়া বিবৃতি দিয়ে জানালেন বিএনপি নেতাদের হেফাজতের পাশে দাঁড়াতে। এরশাদ ফ্রিজের ঠান্ডা পানি নিয়ে হেফাজতের পাশে দাঁড়ালেন, খাবার নিয়ে দাঁড়ালেন। সারা দেশ আতঙ্কগ্রস্ত। গণভবন ঘেরাও হবে কিনা, সচিবালয় ঘেরাও হবে কিনা, হেফাজতের কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, নাকি বিএনপির কাছে দেবে ক্ষমতা, এমন এক পরিস্থিতি। আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি, রাত ৩টার মধ্যে শাপলা চত্বর পরিষ্কার হয়েছিল। সেখানে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছিল ঢাকা মহানগরের নেতারা।

ড. রাজ্জাক বলেন, হেফাজতের সেই সমাবেশে ৬১ জন মানুষ মারা গেছে, এর চেয়ে বড় মিথ্যাচার আর কী হতে পারে। সে মিথ্যাবাদীর যদি বিচার হয় আইনে, সেটা কি অন্যায়?

তিনি বলেন, বিএনপি একটানা আন্দোলন-সংগ্রাম করছে, একই দাবি নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে আন্দোলন করছে, শেখ হাসিনা পালানোর পথ পাবে না, একই কথা বারবার বলছে। শেখ হাসিনার পতন না হলে তারা কোনও নির্বাচনে যাবে না।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশ আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির বক্তব্য দেন।