বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ চলছে। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় সমাবেশ শুরু হয়। এতে দুপুর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন হাতে আসেন নেতাকর্মীরা। সেগুলো বারবার নামাতে বলা হলেও অনেকেই নামাননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বলা হয়, ব্যানার না নামালে পদ থাকবে না।
সমাবেশ শুরুর পর উপস্থিত নেতাকর্মীদের ব্যানার নামিয়ে ফেলতে বলা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বারবার আহ্বান জানানোর পরও অনেককে ব্যানার ধরে রাখতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম সবাইকে ব্যানার-ফেস্টুন নামাতে বলেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘যারা এখনও ব্যানার ধরে আছেন, যুবলীগের নেতাকর্মীরা সেগুলো নামিয়ে দেন।’
এরপরও ব্যানার না নামালে ক্ষুব্ধ হয়ে মির্জা আজম বলেন, ‘ব্যানার না নামালে কিন্তু পদ থাকবে না। আমরা ছবি তুলে রাখবো, যারা ব্যানার নামাননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যানার নিয়ে আসা কারও নাম বলা হবে না। সবাইকে নিজ দায়িত্বে ব্যানার নামাতে হবে।’
সবশেষ যৌথসভায় দেওয়া নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কর্মী নিয়ে সমাবেশে আসতে বলেছিলাম, টাকা দিয়ে কামলা নিয়ে আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। এরা কারা, যারা এত বলার পরও ব্যানার নামাচ্ছে না?’
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সমাবেশের মঞ্চ থেকে হুমায়ুন কবির বারবার ব্যানার নামাতে বলেন। তারপরও অনেকে কথা শোনেনি।
পরে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক মঞ্চ থেকে বলেন, ‘এখনও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের অনেকগুলো ব্যানার দেখা যাচ্ছে।’ যারা নির্দেশ মানেননি, তাদের বিরুদ্ধে আজই ব্যবস্থা নিতে মির্জা আজমের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
এর আগে, বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক জরুরি বর্ধিত সভায় মির্জা আজম বলেছিলেন, ‘কিছু নেতাকর্মী ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে এসে চেহারাটা দেখিয়ে সমাবেশ শুরুর আগেই চলে যান। নিজের পছন্দের নেতা যে, আছে তার ছবি দিয়ে ব্যানার করেন তারা। সমাবেশে আসার পর বারবার ব্যানার নামাতে বলা হলেও নামান না, এটা দৃষ্টিকটু।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিট ও ওয়ার্ডে কমিটি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সবাই নেতা হতে আসেন, নিজের পরিচয় দিতে চান। নিজের পরিচয় ও ছবি দিয়ে ব্যানার বানিয়ে সমাবেশে আসেন– ব্যানার নামাতে বলার সঙ্গে সঙ্গে নামাতে হবে। যারা ব্যানার ধরে রাখেন তারা জানেনই না কার ব্যানার ধরে রেখেছেন। তাই বারবার বলার পরও ব্যানার নামান না।’
মির্জা আজম বলেন, ‘হয়তো কিছু টাকা দিয়ে ব্যানার ধরতে বলা হয়েছে, নেতার নাম জানেন না। কামলা হিসেবে তিনি ব্যানার ধরে রাখছেন। এই ধরনের কোনও লোক সমাবেশে আনবেন না। কামালদের মিটিং-সমাবেশে নিয়ে আসবেন না, কর্মীদের মিটিংয়ে নিয়ে আসবেন।’