শফিক রেহমান নয়, মাহমুদুর রহমানকে দেখতে গেলেন খালেদা

unnamedবিএনপিপন্থী ও সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমানকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে না গেলেও একসময়কার আমলা ও পরবর্তীতে সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার রাতে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে গিয়ে ‘বন্ধ’ আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন খালেদা।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে খালেদা জিয়া ইউনাইটেড হাসপাতালে মাহমুদুর রহমানকে দেখতে যান। এ সময় তার সঙ্গে দলের অন্য নেতারাও ছিলেন। খালেদা জিয়া মাহমুদুর রহমানের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নিয়েছেন।

জানা গেছে, ইউনাইটেড হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়া মাহমুদুরের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। হাসপাতালে মাহমুদুরের মা মাহমুদা বেগম ও স্ত্রী ফিরোজা মাহমুদের সঙ্গে কথা বলেন খালেদা জিয়া। হাসপাতালে চিকিৎসক ফাওয়াজ হোসেন শুভর তত্ত্বাবধানে মাহমুদুরের চিকিৎসা চলছে।

মাহমুদুর রহমানকে দেখতে যাওয়ার সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আফরোজা খানম রীতা, ফরহাদ হোসেন ডোনার, শামা ওবায়েদ, আমার দেশের সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ ও জাহেদ চৌধুরীসহ অনেকে।

রাষ্ট্রদ্রোহসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৭০টি মামলায় সাড়ে তিন বছর  জেলে থাকার পর জামিন পেয়ে মুক্তি লাভ করেছেন মাহমুদুর রহমান। গত ২৩ নভেম্বর জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েই মাহমুদুর হাসপাতালে ভর্তি হন।

এদিকে, মাহমুদুর রহমানকে দেখতে গেলেও প্রায় দুই মাস আগে দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শফিক রেহমান অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও দেখতে যাননি খালেদা জিয়া। গত ৯ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়ে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শফিক রেহমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের’ মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন সাপ্তাহিক ‘যায়যায়দিন’-র এই সম্পাদক। গত ১৬ এপ্রিল শফিক রেহমান গ্রেফতার হলে পর দিন মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা সমবেদনা জানাতে রেহমানের ইস্কাটনের বাসায় গেলেও মুক্তির পর কোনও নেতাই কাছাকাছি যাননি তার।

কেন যাননি, এমন প্রশ্নে উত্তরে বুধবার রাত বারোটার দিকে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রথমত খালেদা জিয়া কোথায় যাবেন বা যাবেন না, এটা নিয়ে কথা বলার সুযোগ নেই। দ্বিতীয়ত, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এখন মাহমুদুর লবি শক্তিশালী। যাদের আনাগোনা বেশি তাদের বেশিরভাগই মাহমুদুর গ্রুপের। অন্যদিকে শফিক রেহমান যাদের ঘনিষ্ট, তারা এ নিয়ে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।’

চেয়ারপারসন কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা মনে করেন, কোথাও যেতে হলে ম্যাডামকে জানাতে হয়, বলতে হয়। শফিক রেহমান মুক্তি পেলেও এই কাজটি কেউ করেনি, কিন্তু আমার দেশ সম্পাদকের ক্ষেত্রে ঘটেছে।

/এসটিএস/এএ/