খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা দেশ থেকে সন্ত্রাস, গুম, খুন, হত্যা, জঙ্গি হামলা বিদায় করব। এসব বিদায় করে দেশে শান্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করব। ৪৫ বছরে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। এমন অবস্থা দেখে অনেকেই এগিয়ে আসতে চায় দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার জন্য। উন্নয়নের নামে ঢুকে বাংলাদেশকে দুর্বল করতে চায় তারা। দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কারও হস্তক্ষেপ আমরা মেনে নেব না।’
প্রধানমন্ত্রীর সফরের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘সামনে আসছে শুকনা মৌসুম। আমাদের পানির যে প্রাপ্য, সেই প্রাপ্য আমরা চাই। আমরা কারও দয়া চাই না, আমাদের যতটুকু অধিকার, ততটুকুই চাই। বর্তমান স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী বেড়িয়ে এসেছেন। কিন্তু দেশের মানুষের কথা বলতে পারেননি। দেশের মানুষের কথা না বলে নিজের দেশের সব কিছু দিয়ে এসেছেন। বিনিময়ে কিছু নিয়ে আসতে পারেননি। তিনি যদি (শেখ হাসিনা) সাহস করে একটি কথা বলতেন, আমাদের দেশের জনগণের সঙ্গে আলাপ করে তার পর চুক্তি ও এমওইউ করব, যদি বলতে পারতেন আপনারা আমাকে তিস্তার পানির ন্যয্যা হিস্যা দিন, তাহলে চুক্তি করতে রাজি আছি, তাহলে আমরা সবাই মিলে তার পাশে থাকতাম। অবশ্যই তাকে সমর্থন দিতাম। কিন্তু তিনি সাহস করেননি। আমরা সবাইকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই, কিন্তু কেউ যদি বন্ধুর বেশে প্রভু হতে চায়, সেটা মেনে নেব না, মেনে নিতে দেব না। বন্ধুর নামে প্রভুত্ব বাংলাদেশের মানুষ স্বীকার করবে না।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা জানি দেশের মানুষ কষ্টে আছে। কয়েকদিন আগে বৃষ্টি ও বাইরের পানি এসে হাওর অঞ্চলে মানুষের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই গরিবের পাশে দাঁড়াতে হবে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
জাতীয়তাবাদী সামাজিক সংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাদ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় , আবদুল মঈন খান, নিতাই রায় চৌধুরী, জাসাস নেতা হেলাল খান, বাবুল আহমেদ, আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বল, শায়রুল কবির খান, সালাহ উদ্দিন ভুইয়া শিশির, ওবায়দুর রহমান চন্দন প্রমুখ।
/সিএ/এমএনএইচ/