পুলিশ হেফাজতে ‘নিহত’ ছাত্রদল নেতার বাড়িতে মির্জা ফখরুল

পুলিশে হেফাজতে ‘নিহত’ তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন মিলনের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার বিকালে ঢাকা থেকে সড়ক পথে বিএনপি মহাসচিব প্রথমে মিলনের গ্রামের বাড়ি পূবাইলের মাজুখানে যান তিনি। ছেলের শোকে কাতর বৃদ্ধ মা হোসনে আরা এবং স্ত্রী শাহনাজ তানিয়া আখতারকে সান্ত্বনা জানান মির্জা ফখরুল।

কথা বলছেন মির্জা ফখরুলমহাসচিবের সফরসঙ্গী শায়রুল কবির খান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, মিলনের দুই ছোট মেয়ে শিশুকে বিএনপি মহাসচিব কাছে নিয়ে আদর করতে গেলে তারা কান্নায় ভেঙে পড়ে। এসময় ফখরুলও শিশু সন্তানের সঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
শায়রুল কবির জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান পরিবারের সদস্যদের কাছে তুলে দেন ফখরুল। পরে মিলনের কবর জিয়ারত করেন বিএনপি মহাসচিব এবং কবরে দলের কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলছেন মির্জা ফখরুলএসময় দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাঈদ সোরাত জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়্যেদুল ইসলাম বাবুল, স্থানীয় কমিশনার সুলতান উদ্দিন চেয়ারম্যান, ছাত্রদলের সাজ্জাদ হোসেন রুবেল, নুরুল ইসলাম নুরুসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা ছিলেন।

মির্জা ফখরুল উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘মিলনের শহীদ হওয়ার ঘটনা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অনুপ্রেরণার একটি নাম। তার পরিবার আজ এক নিদারুণ অবস্থার মধ্যে দিনযাপন করছেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহমর্মিতা জানাতে আমি এখানে এসেছি। আমরা সব সময় মিলনের পরিবারের পাশে থাকবো।’ স্থানীয় নেতাদের মিলনের পরিবারের প্রতি দেখভাল করার নির্দেশও দেন বিএনপি মহাসচিব।

প্রসঙ্গত, গত ৬ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির মানববন্ধন থেকে মিলনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর তিনদিন রিমান্ড শেষে রবিবার কারাগারে নেওয়ার পর অসুস্থ হন মিলন। সোমবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিএনপিসহ পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশের নির্যাতনেই মিলনের মৃত্যু হয়েছে।