বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘উন্নয়নের নামে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে আওয়ামী লীগের যে কোনও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে বাধ্য করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র স্বরবিদ্ধ ও সুশাসন আওয়ামী চাকায় পিষ্ট। এই গণতন্ত্রহীন দেশে লুটপাটের নামে জনগণের টাকা আত্মসাৎকে উন্নয়ন বলছে তারা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপক সমালোচনা করেছেন এই রাজনীতিবিদ। তার অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় খরচে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করে নৌকায় ভোট চাইছেন। তিনি মনে করেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নির্বাচনি আচরণবিধির সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এসব দেখেও না দেখার ভান করে সরকারকে সহায়তা দিচ্ছে।’
সরকারকে উদ্দেশ্য করে রিজভীর ভাষ্য, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সম্পন্ন করতে বাধ্য হবেন আপনারা। আপনাদের সব চক্রান্ত ও নীলনকশা জনগণের সম্মিলিত শক্তির অভিযাত্রায় প্রতিহত করা হবে। আমাদের চেয়ারপারসনকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কারাবন্দি রেখে বিএনপিবিহীন নির্বাচন করার খায়েশ কখনোই পূরণ করতে পারবেন না। খালেদা জিয়াকে ছাড়া দেশে নির্বাচনই হবে না।’
রিজভীর দাবি— খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাননি। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে তাকে ন্যায্য-বিচার-প্রক্রিয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তার কথায়, ‘বিচার বিভাগকে অবশ্যই সরকারের প্রভাবমুক্ত হতে হবে। আদালত নিরপেক্ষ না থাকলে নাগরিকরা নিজেদের ডিফেন্ড করতে পারবেন না, তখন বিচারের বাণী পরিণত হয় সরকারের বাণীতে।’