বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মীর ফাওয়াজ হোসেন শুভ বুধবার (৪ এপ্রিল) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ম্যাডামের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দেখা করতে কারা কর্তৃপক্ষ এখনও অনুমতি দেয়নি। আমরা মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) রাত ১২ পর্যন্ত চেষ্টা করেছি অনুমতি নেওয়ার জন্য। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়নি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এক্সরে ও রক্ত পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে কোনও সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে। তবে তিনি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
কারা অধিদফতরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সরকারি কোনও হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা এখনও তারা পায়নি। এছাড়া খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের ব্যাপারেও এখন পর্যন্ত কোনও নির্দেশনা পায়নি।
মঙ্গলবার ডা. শুভ বলছিলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খুবই উদ্বিগ্ন। আমরা ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়েই তার চিকিৎসা করাতে চাই। আমরা সরকারের তৈরি করা স্বাস্থ্য প্রতিবেদনটি এখনও দেখিনি। এতে কী লেখা আছে তা আমরা জানি না। আমরা চাইবো খালেদা জিয়াকে যারা চিকিৎসা দিতেন, তারা যে চিকিৎসা দেবেন সেটাই উনি গ্রহণ করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা তো খালেদা জিয়াকে দেখেননি, তাই তাদের চিকিৎসা গ্রহণ করার কোনও প্রশ্নই আসে না।’
মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চার সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড খালেদা জিয়ার এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষার সুপারিশ করেছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন মঙ্গলবার কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত ১ এপ্রিল কারা কর্তৃপক্ষের অনুরোধে চার সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এরপর এই বোর্ডের চারজন সদস্য খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। প্রায় একঘণ্টা ধরে বোর্ড সদস্যরা পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গঠিত বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা হলেন—ঢামেক হাসপাতাল অর্থোপেডিকস বিভাগের অধ্যাপক মো. শামছুজ্জামান শাহীন, নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক মনসুর হাবীব, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক মো. টিটু মিয়া ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক সোহেলী রহমান।