পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিজেই ফেসবুক পোস্ট সরিয়ে বলছেন হ্যাকড হয়েছে: রিজভী

রুহুল কবির রিজভী (ফাইল ছবি)পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সমালোচনার করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তার অভিযোগ, ‘আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাগরিকত্ব বাতিল নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। তা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে সেগুলো নিজেই সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। অথচ এখন বলছেন তার ফেসবুক হ্যাকড হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মনে করেন, ‘মূলত প্রশ্নবিদ্ধ কাগজপত্র উপস্থাপন করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সবার কাছে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছেন।’
রিজভী উল্লেখ করেন, ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী সেখানে বসবাস করছেন তারেক রহমান। তার ভাষ্য, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র ও তদবিরের পরও ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণে নিজের কেবিনেটের প্রতিমন্ত্রীকে দিয়ে জাতির সামনে প্রশ্নবিদ্ধ কাগজপত্র উপস্থাপন করাচ্ছেন তিনি। আমি পরিষ্কার ভাষায় আবারও বলতে চাই, তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেননি। তিনি যুক্তরাজ্যের হোম ডিপার্টমেন্টে পলিটিক্যাল অ্যাসাইলামের জন্য তার পাসপোর্টটি জমা দিয়েছেন, সারেন্ডার করেননি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কীভাবে দিল্লিতে নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছিলেন জানতে চেয়ে রিজভীর প্রশ্ন—‘আমি জানতে চাই উনি কীভাবে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন? আপনার ছোট বোন শেখ রেহানা কীভাবে ব্রিটেনে অবস্থান করেছিলেন? গণমাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেখলাম। জাতির সামনে এর জবাব দেবেন কী?’
এদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা যতদিন জীবিত আছেন, ততদিন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকবে। শেখ হাসিনা ততদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।’ এ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ‘এই বক্তব্য যেন স্বীকৃত স্বৈরাচারী সরকারেরই যথার্থ প্রতিধ্বনি। এই বক্তব্যের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে চিরদিনের জন্য নির্বাসনে পাঠিয়ে বাকশাল পুরোদমে চালু রাখার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তারা (আওয়ামী লীগ) যে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়, এই বক্তব্য তারই বহিঃপ্রকাশ।’

বিএনপির সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘হানিফ সাহেবের বক্তব্যে কি প্রমাণ হয় যে তারা সদলবলে ভারতে গিয়েছিলেন ক্ষমতায় টিকে থাকার দেনদরবার করতে? বিভিন্ন মাধ্যমে সরকার জেনে গেছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ২০-২২টির বেশি আসন পাবে না। তাই একতরফা নির্বাচনের পক্ষে বিদেশিদের দিয়ে নাক গলাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে তারা।’