‘খালেদা জিয়াকে শর্ত ছাড়াই ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা নিন’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী (ছবি: আদিত্য রিমন)বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘কোনও শর্তারোপ নয়, খালেদা জিয়ার পছন্দ অনুযায়ী ইউনাইটেড হাসপাতালেই তাকে ভর্তির ব্যবস্থা নিন। কারণ তিনি ইউনাইটেড হাসপাতাল ছাড়া কোথাও চিকিৎসা নেবেন না।’ বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) দুপুরে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভীর অভিযোগ, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে সরকার। তার ভাষ্য, ‘কারাগারের গুমোট পরিবেশে আমাদের নেত্রী ট্র্যানজিয়েন্ট স্কিমিক অ্যাটাকে (টিআইএ) আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হলেও এখনও তার চিকিৎসার সুরাহা করেনি সরকার।’

সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘দেশবাসী ভুলে যায়নি, শেখ হাসিনা বন্দি থাকাকালে বেসরকারি স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন, প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বিদেশে চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম আব্দুল জলিল ল্যাব এইডে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিমও কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাহলে দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসার নামে শর্তারোপ করা হচ্ছে কেন? তাছাড়া পছন্দ অনুযায়ী চিকিৎসকদের চিকিৎসা নেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার। তাকে চিকিৎসা না দিয়ে সরকার বিপজ্জনক নীলনকশা সাজাচ্ছে।’

রুহুল কবির রিজভীর কথায়, ‘খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা সেবা না দেওয়ার জন্যই সরকারের শর্তারোপ করছে যে, বিএসএমএমইউ অথবা সিএমএইচে যেতে হবে। শেখ হাসিনার নির্দেশেই তাকে যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে বিলম্ব ঘটিয়ে তার জীবন নিয়ে নিখুঁত চক্রান্ত করা হচ্ছে। দেশনেত্রীর জীবন নিয়ে শেখ হাসিনার এই নিষ্ঠুর তামাশা দেশের কোটি কোটি মানুষের মনে সরকারবিরোধী ঘৃণার জন্ম দিয়েছে।’

এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বুধবার (১৩ জুন) বলেছেন, ‘রাস্তাঘাটে কোনও যানজট নেই। মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি যাচ্ছে।’ এ প্রসঙ্গে রিজভীর মন্তব্য, ‘মন্ত্রী এমন সুখের কথা বললেও বাস্তবতা হলো, ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। খানাখন্দে ভরপুর রাস্তাঘাটে বৃষ্টির পানি ও কাদায় লুটোপুটি খাচ্ছে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষ। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-উত্তরাঞ্চল, ঢাকা-ময়মনসিংহসহ সব সড়ক-মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটে পড়ে মানুষকে সীমাহীন ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। শুধু টঙ্গী-জয়দেবপুর পার হতেই লাগছে ৫ থেকে ১০ ঘণ্টা। কাজেই সেতুমন্ত্রীর বক্তব্য জনগণের সঙ্গে ইয়ার্কি ঠাট্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ।’