মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আশা করি, আজকের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। যদিও জানি তারা সবটুকু দেখাতে কিংবা লিখতে পারবেন না, তারপরও গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই।’
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তবে বিএনপির টার্গেট হচ্ছে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। যে নির্বাচনে দেশের মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘দেশে এখন মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে, যার কোনও রিপোর্ট হচ্ছে না। গণতন্ত্র মৃত্যুর পথে। অথচ এই দেশের মানুষ ৫২ থেকে ৭১ পর্যন্ত মৌলিক অধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছে।’তিনি বলেন, ‘আজ জুডিশিয়ারি সম্পূর্ণ ফেল, যার ফলেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীনরা বিচারবিভাগের সুবিধা পাচ্ছে। নিম্ন আদালতের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মোট কথা নিম্ন আদালত সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, তাদের পদোন্নতি, বদলিসহ সব কিছুই আইন মন্ত্রণালয়ের ওপর, সুপ্রিম কোর্টের নয়। আমরা বিশ্বাস করি, যদি বিচারবিভাগ স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতো, তাহলে অবশ্যই মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ হতো।’
গণস্বাস্থ্য ট্রাস্ট্রি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা ডা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে রক্ষীবাহিনী যেভাবে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, এখনও পুলিশ, র্যাব একইভাবে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। যা কখনও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কাম্য হতে পারে না। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞা থেকে অনুধাবন করছি, বাংলাদেশ ভারত দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে একটি ভিত্তিহীন মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। এমনকি তার আইনজীবী লর্ড কার্লাইলকে বাংলাদেশে আসার ভিসা বাতিল করা হয়েছে।’
বিদেশি প্রতিনিধিদের উদ্দেশে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমরা বড় কারাগারে আছি। প্রত্যেকের জীবন বিপন্ন । আপনারা বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরুন।’