প্রস্তাবিত সড়ক আইন শুভঙ্করের ফাঁকি: রিজভী

রুহুল কবীর রিজভী (ফাইল ছবি)প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনে গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সোমবার তড়িঘড়ি করে মন্ত্রিপরিষদে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রস্তাবিত আইনে দুর্বৃত্ত ও গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে। এটি একটি শুভঙ্করের ফাঁকি।’

মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) বেলা ১২টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘এ আইন আদৌ সংসদে পাস হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নাগরিকরা। এ আইন নিরাপদ সড়কের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এ আইনে গণপরিবহনে নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ ফিরিয়ে আসবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।’

বিএনপি নেতাদের নামে মিথ্যা অপপ্রচারের জন্য ক্ষমতাসীনদের ফেসবুকে ভুয়া এবং কাল্পনিক তথ্য দিয়ে একের পর এক পোস্ট দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, ‘এসব পোস্টে বলা হয়েছে, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আমার নামে ইসলামী ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা জমা আছে। এ অদ্ভূত এবং হাস্যকর তথ্যের জন্য ফেসবুকে পোস্ট প্রদানকারীকে আন্তর্জাতিক পুরস্কার দেওয়া উচিত। ভীত ও নার্ভাস হয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে সরকার নানা ধরনের নোংরা চাতুরির আশ্রয় নিচ্ছে।’

সরকারের হাতে এখন কেউই নিরাপদ নয় বলেও দাবি করে রিজভী বলেন, লেখক, সাংবাদিক, কলামিস্ট, ছাত্র, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, নারী কিংবা শিশু কেউ নিরাপদ নয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলতে কিছুই নেই। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় পটুয়াখালীতে এক গর্ভবতী শিক্ষিকাকে দু’দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রী ও দৃক গ্যালারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর অবিরাম হামলা অব্যাহত রেখেছে পুলিশ-ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সন্ত্রাসীরা। সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগ-যুবলীগের সশস্ত্র হামলায় দেশের মানুষ হতভম্ব। দলের পক্ষ থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কিশোর তরুণরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অন্যায়ের মোকাবিলা করছে। সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ২০০ বছরের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে ছাত্র আন্দোলন কখনোই ব্যর্থ হয়নি। আন্দোলনরত এ স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের আন্দোলনও ব্যর্থ হবে না।