সোমবার (১৯ নভেম্বর) রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্কাইপ বন্ধ করার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত তা চালু করার দাবি জানিয়েছেন।
রিজভী অভিযোগ করেন, ‘টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) স্কাইপ বন্ধ করে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সরকার নিয়ন্ত্রিত বিটিআরসি ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্কাইপের সেবা বন্ধ করে দিয়ে এক ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানস্থ কার্যালয়ে ইন্টারনেটভিত্তিক সকল যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন বলেছেন, বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। তার এই বক্তব্যের পরপরই সরকার নিয়ন্ত্রিত বিটিআরসি কর্তৃক স্কাইপ বন্ধ করে দেওয়ায় আবারও প্রমাণিত হলো নির্বাচনি মাঠ আওয়ামী জোটের একচেটিয়া দখলে থাকবে।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব দাবি করেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নমিনেশন প্রত্যাশীদের সঙ্গে স্কাইপে কথা বলা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন নয়। কমিশন সচিব এ বিষয়টি নিশ্চিত করার পরও তড়িঘড়ি করে বিটিআরসিকে দিয়ে স্কাইপ বন্ধ করে দেওয়া সরকারের নিম্নরুচির পরিচায়ক। সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচনকে নিজেদের অনুকূলে নেওয়ার জন্য ক্লান্তিহীনভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে।’
রিজভী অভিযোগ করেন, ‘সরকার ও সরকার প্রধান ভিন্ন মত, বিরোধী দল, বিরোধী কণ্ঠস্বর নীরব করার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। জনগণের নিরাভিমান আনুগত্যই শেখ হাসিনার কাম্য। যতদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে ততদিন গণতন্ত্রের ফাঁড়া কাটবে না এবং দেশ থেকে বিপদ দূর হবে না।’