এই সরকার ফ্যাসিবাদী সরকার: মোশাররফ

ড্যাবের আলোচনা সভায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ অন্যরাবর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এরশাদ স্বৈরাচার ছিলেন। কিন্তু বর্তমান সরকার ফ্যাসিবাদী সরকারের রূপান্তরিত হয়েছে।’ শনিবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাবের) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘যে বাংলাদেশের জন্য নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ডাক্তার মিলনসহ অনেকেই  শহীদ হয়েছেন, যে আশা কি পূরণ হয়েছে? সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য স্বৈরাচারী পথ বেছে নিয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিও বাতিল করে নিজে নিজেই ক্ষমতায় থাকছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘২০১৯ সালে সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে। এই সরকার খুব ভালো করেই জানে,  খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসতে পারতো না। এজন্য খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রেখেছে। তার প্রাপ্য জামিন উচ্চ আদালতের মাধ্যমে সরকার তাকে বঞ্চিত করেছে।’

উচ্চ আদালত খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সার্টিফিকেট চেয়েছেন উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আশা করবো, যারা  খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দায়িত্বে আছেন, তারা নৈতিক দিক থেকে সঠিক রিপোর্ট পেশ  করবেন। আর যদি না করেন, তাহলে ভাববো, দেশের মে‌ডিক্যাল বিশ্ব‌বিদ্যালয়গুলো চিকিৎসার নৈতিকতা ধরে রাখতে পারছে না। মানুষ তাদের আর বিশ্বাস করবে না।’

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করা জনগণের সাংবিধানিক ও নৈতিক অধিকার বলে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এর আগেও অনেক আন্দোলন করে প্রমাণ করেছি, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই, এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, স্বৈরশাসকের পতন ঘটানো, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। কোনও অরাজকতা সৃষ্টি করা আমাদের লক্ষ্য নয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে চাই। আর সরকার যদি আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে কোনও অরাজকতা সৃষ্টি করে, তাহলে সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারের।’

খন্দকার মোশাররফ বলেন,  ‘যদি ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন না হয়, তাহলে বোঝা যাবে, আইনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করা যাবে না। সরকার আমাদের কঠিন আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তখন আন্দোলন ছাড়া অন্য কোনও পথ থাকবে না।’

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক হারুন-আল-রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্মমহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাক্তার ফরহাদ হালিম ডোনার, মহাসচিব আবদুস সালাম প্রমুখ।