শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ‘গত ২৪ নভেম্বর দলের চেয়ারপারসনের সাক্ষাৎ চেয়ে কারামহাপরিদর্শক বরাবর চিঠি দেওয়া হয়। বেগম জিয়ার ভাই শামিম ইস্কান্দর ৬ জনের নাম উল্লেখ করে চিঠি দেন; যদিও এই সময়ের মধ্যে কোনও সাড়া দেয়নি কারাকর্তৃপক্ষ।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের এই সদস্যের অভিযোগ, ‘দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের বাইরে যে বিষয়টি নিয়ে পরিবারের সদস্যরা সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন, সেটি হচ্ছে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আসার পর, পুনরায় সাক্ষাতের মধ্যবর্তী সময়ে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না। যোগাযোগ করা হলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায় না। এটা নিয়ে পরিবারের সদস্যরা অনেক বেশি চিন্তিত।’
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে কারাগারে পাঠানো হয় খালেদা জিয়াকে। এ বছরের এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। আগামী ৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানি করবেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিল করতে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত ২৮ নভেম্বর বিএসএমএমইউ পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ এখনও আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। নির্দেশনা হাতে পেলেই প্রতিবেদন তৈরি করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’
এর আগে, গত ১৩ নভেম্বর খালেদা জিয়ার মেজ বোন বেগম সেলিমা ইসলামসহ তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য তার সঙ্গে দেখা করেছেন। ইতোমধ্যে ১৮ দিন পার হয়েছে বলে জানান শামসুদ্দিন দিদার। তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে স্বজনরা উৎকণ্ঠিত। তারা দ্রুত চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান।’
আরও পড়ুন...
নির্দেশনা পেলেই খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন: বিএসএমএমইউ পরিচালক