ইশরাকের নির্বাচনি ইশতেহার সোমবার

নির্বাচনি প্রচারণায় ইশরাক হোসেনঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশেন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করা হবে সোমবার (২৭ জানুয়ারি)। এ দিন সকাল ১০ টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে  এই ইশতেহার ঘোষণা করা হবে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি)  ডিএসসিসির ৪৬ নং ওয়ার্ডের ফরিদাবাদ (জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম) মাদ্রাসায় জুমার নামাজ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইশরাক হোসেন এই তথ্য জানান।

ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আগামী ২৭ জানুয়ারি আমার নির্বাচনি ইশতেহারের দিন ঠিক করেছি। আমি যে প্রত্যেকদিন কথা বলছি, বক্তব্য দিচ্ছি, আমার প্রতিপক্ষের লোকেরা বিন্দুমাত্র ধারণা রাখে না। আমি প্রত্যেক দিনই ঢাকাবাসীর জন্য নানা পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু তারা হয়তো এগুলা শুনছে না। কারণ তারা তো ব্যর্থ। গত ১৩ বছর ধরে তাদের দল ক্ষমতায়, গত নয় বছর ধরে নগরের দায়িত্বে তারা আছে। কিন্তু তারা তো এখনও নগরের কোনও পরিবর্তন করতে পারেনি। আর কোনও ধরনের পরিবর্তন করতে পারবে মনে হয় না। তারা তো জবাব দেওয়ার কোনও প্রয়োজন মনে করে না। কারণ তারা জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। সুতরাং তারা এই নগরের জন্য কিছুই করতে পারবে না বলে আমরা মনে করি না।’

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সাদেক হোসেন খোকা মৃত্যুর আগে দেশে থাকতে পারেননি অভিযোগ করে ইশরাক বলেন, ‘আজ জিয়াউর রহমানের ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলেন। তিনি মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তার পরিবারের দুঃখটা আমি খুব ভালো করে বুঝি। কারণ আমার বাবাও একই ধরনের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। তাকেও এই বাংলাদেশে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে দেওয়া হয়নি—শুধু বিরোধী দলের রাজনীতি করার কারণে।’

বিএনপির এই মেয়রপ্রার্থী বলেন, ‘চারদিকে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার শুরু হয়েছে, দুঃশাসনের বিপক্ষে গণজোয়ার শুরু হয়েছে। এই দুঃশাসনের বিপক্ষে আপনারা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে যাবেন। ধানের শীষে ভোট দেবেন। এই জনস্রোত দেখে নির্বাচনে বিএনপির বিজয়কে বানচাল করার যে ষড়যন্ত্র অপচেষ্টা করা হচ্ছে, সেটা কখনোই সফল হবে না।

নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোনও নোটিশ পেয়েছেন কিনা—এমন প্রশ্নে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, ‘আমি এমন ধরনের কোন নোটিশ পাইনি। আমার আইনজীবী যারা কাজ করছেন, তাদের সঙ্গে আমার প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হচ্ছে। সেখান থেকে জানতে পারছি, এখন পর্যন্ত আমরা কোনও নোটিশ পাইনি।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।