খালেদা জিয়ার জামিন নাকচের ঘটনায় শনিবার দুপুরে বিএনপি’র বিক্ষোভ সমাবেশ করার কথা ছিল। যদিও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ সকালে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, সমাবেশ করতে না দেওয়ায় রবিবার (১ মার্চ) ঢাকার থানায়-থানায় প্রতিবাদ করবে বিএনপি। এদিন সকালে সাড়ে ১১টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়া পল্টনের কার্যালয়ে আসেন। সে সময়ে পুলিশ কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়েছিল। বিএনপি মহাসচিব পুলিশকে গেইট থেকে কিছুটা দুরত্বে থাকার জন্য অনুরোধ জানান। পরে পুলিশ সরে যায়।
পুলিশের অবস্থান দেখে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এসময় তিনি বলেন, ‘এই স্বৈরতান্ত্রিক ও জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন সরকার জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় তারা সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। র্যালি করতে অনুমতি দেয় না। এটা এখন একটি গতানুগতিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এতো অসুস্থতার পরেও তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। এটি অত্যন্ত ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি জনগণকে সংগঠিত করে দেশনেত্রীকে ফিরিয়ে আনার জন্য, তাকে মুক্ত করবার।’
পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা নয়া পল্টনের কার্যালয়ে অবস্থান করে মির্জা ফখরুল কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান।