সংযত হোন, এভরিথিং ইজ বিয়িং নোটেড: ফখরুল

খালেদা জিয়াকে কেন্দ্র করে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্পর্কে সরকারের কিছু প্রভাবশালী মন্ত্রীর বক্তব্য শুধু অশালীন নয়, অমার্জিত ও অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, ‘এভাবে যাচ্ছেতাই কথা বলে সরকার পার পাবে না। দয়া করে সংযত হোন। দয়া করে আপনাদের কথা একটু কমান। সংযত হোন, এভরিথিং ইজ বিয়িং নোটেড, অ্যান্ড দ্য পিপলস অব দিস কান্ট্রি উড বি গিভ অ্যান আনসার টু টাইমলি। সময় যখন আসবে, তখন তারা তার জবাব দেবে।’

মঙ্গলবার (১১ মে) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

তিনি  বলেন, ‘এসব মন্ত্রী, যারা ওইভাবে ক্ষমতায় না আসলে কোনোদিন এমপি হওয়ারও স্বপ্ন দেখতে পারতেন না। ভবিষ্যতে এ ধরনের উক্তি করলে তার যথাযোগ্য জবাব এ দেশের জনগণ আপনাদের দেবে।’

খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি না দেওয়ার বিষয়ে  মির্জা ফখরুল বলেন, ‘উনারা বলেছেন, অনুমতি দিতে পারছেন না। না পারার যে যুক্তিগুলো দিলেন, সেই যুক্তিগুলো একেবারেই অগ্রহণযোগ্য যুক্তি, খোঁড়া যুক্তি। তারা বলেছেন যে, সাজাপ্রাপ্তদের বিদেশে পাঠানোর নজির নেই। এটা তারা ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন।’

আ স ম আবদুর রব ও মোহাম্মদ নাসিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছিল উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘১৯৭৯ সালে আমাদের স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী আ স ম আবদুর রব জেলে ছিলেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেবের আমলে তাকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য জার্মানি পাঠানো হয়েছিল। আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম সাহেব। সাজাপ্রাপ্ত মোহাম্মদ নাসিমকে ২০০৮ সালে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সুতরাং, কেন এই সমস্ত খোঁড়া যুক্তি? সোজা বলেন যে, আমরা দেবো না।’

তিনি বলেন, ‘‌‌আপনাদের সেই বদান্যতা নেই। থাকলে খালেদা জিয়াকে অনেক আগেই আপনারা ছেড়ে দিতেন। আপনারা (তাকে) রাজনীতি করতে দিতেন। এত ভয় কেন? নির্বাচন? কারণ, আপনারা জানেন যে, নির্বাচন হলে আপনারা কোনোদিনই জিততে পারবেন না।’

‘খালেদা জিয়াকে অন্তরীণ করে রাখা ও তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া, তার দলকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়াটা সরকারের লক্ষ্য’— অভিযোগ করে করে ফখরুল বলেন, ‘মূল উদ্দেশ্যটা কী? এ দেশে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে একটি দল আছে, সেটা হচ্ছে বিএনপি। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, বাংলাদেশের অন্তরাত্মা— এই রাজনীতি করে বিএনপি। এই দলের মূল শক্তি জনগণ।’

আরও পড়ুন:

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনও ক্রিটিক্যাল: মির্জা ফখরুল