খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা, সময় নেবে বিএনপি

দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে আবারও পিছিয়ে এসেছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী শারীরিকভাবে আগের চেয়ে ‘একটু ভালো’ বোধ করায় এখনই সরকারের কাছে বিদেশে নেওয়ার সুযোগ দিতে আবেদন করা হচ্ছে না। পরিস্থিতি দেখে ‘সময় ও সুযোগ মতো’ তা করা হবে। শনিবার (২৬ জুন) বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলে একাধিক তথ্য জানা গেছে। কোনও-কোনও সদস্য জানিয়েছেন, বৈঠকে রাজনৈতিক বিষয়— করোনা ভাইরাস, সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের চিকিৎসা সঙ্কট, হাসপাতালে সুচিকিৎসার অভাব ইত্যাদি প্রসঙ্গে কথা বলেছেন কেউ-কেউ।

স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, বৈঠকে বিএনপির প্রধানের শারীরিক প্রসঙ্গটি ছিল প্রধান বিষয়। মূলত এই প্রসঙ্গেই দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তিনি জানান, দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বৈঠকে চিকিৎসক ও খালেদা জিয়ার বরাতে জানিয়েছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিগত কয়েকদিনের চেয়ে উন্নত অবস্থায় রয়েছে’। বৈঠকে বলা হয়েছে—তার শরীর এখন কিছুটা ভালো। সুযোগ-সুবিধা অনুযায়ী পরে উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কাছে আবেদনের বিষয়টি সামনে আনা হবে।

বৈঠকে বিষয়ে জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘স্থায়ী কমিটির বৈঠকের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। এ বিষয়ে সবকিছুই মহাসচিব ব্রিফ করবেন আপনাদের।’ প্রসঙ্গত, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রায় নিয়মিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে, বেগম জিয়ার সুচিকিৎসা প্রয়োজন। এজন্য তাকে বিদেশে নিতে হবে। আর আবেদনের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিবার করতে পারে।’

শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, আগামীকাল রবিবার (২৭ জুন) গুলশানের অফিসে সংবাদ সম্মেলন করবেন বিএনপির মহাসচিব।

আরও পড়ুন:

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ‘আলোচনায়’ সমাধান, আবেদনের প্রস্তুতি