জিয়াউর রহমানের দাফন নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী মির্জা ফখরুল যা বললেন

‘চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই’—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকজন মন্ত্রীর এমন বক্তব্য নিয়ে শনিবার (২৮ আগস্ট) রাতে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সেই চট্টগ্রাম থেকে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেহ তোলা হয় তারপরে তার পোস্টমর্টেম করা হয়। ডা. তোফায়েল আহমেদ সাহেব তার পোস্টমর্টেম করেছিলেন এবং ২২টি বুলেট তার শরীর থেকে বের করে নিয়ে এসেছিলেন।

বিএনপির স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ‘২৮ আগস্ট ১৯৭১: জিয়াউর রহমান কর্তৃক রৌমারীতে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম বেসামরিক প্রশাসনের উদ্বোধন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, এরপর বিগ্রেডিয়ার আসম হান্নান শাহ (প্রয়াত) তার মরদেহকে সামরিক এয়ার ক্রাফটে করে কুর্মিটোলায় নিয়ে এসেছিলেন, যেটা আমরা সবাই স্বচক্ষে দেখেছি। আমার মনে হয়, তখন ড. মোশাররফ হোসেন সাহেব উপস্থিত ছিলেন। এসএ বারী এটি (উপ-প্রধানমন্ত্রী) সাহেবের প্রাইভেট সেক্রেটারি হিসেবে আমিও সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আমরা সেখানে দেখেছি, একটা কাঁচের বাসকেট ছিল, সেখান থেকে আমরা তার দেহ দেখেছি।

তিনি বলেন, আজকে এই ধরনের কথাবার্তা বলার উদ্দেশ্য জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে সরিয়ে দেওয়া।  

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আওয়ামী লীগের এখন কোনও রাজনীতি নাই। এটি অন্তঃসারশূন্য একটা রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। তারা জনগণের কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। রোহিঙ্গা বা শিক্ষাব্যবস্থা সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে।

ফখরুলের অভিযোগ, অর্থনীতি একেবারে রসাতলে যাচ্ছে।

ভার্চুয়াল এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিষয়বস্তুর ওপর তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন দলের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক একেএম ওয়াহিদুজ্জামান।

এছাড়া জাতীয় কমিটির সদস্য আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আব্দুস সালামের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও চিলমারী উপজেলার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী সরকার বক্তব্য রাখেন।